টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে দক্ষিণ এশীয় স্পিকার্স ফোরামকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সোমবার জাতীয় সংসদের স্পিকারের কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত ভুটানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার লিয়নপো জিগমে জাংপোর নেতৃত্বে চার সদস্যের সংসদীয় একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করতে এলে স্পিকার এ আহ্বান জানান।
প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে রিনজির দর্জি এমপি, জ্যাংলে ডুকপা এমপি, ভুটানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সেক্রেটারি জেনারেল সঞ্জয় দুবে এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত পেমা সোডেন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ এশীয় স্পিকার্স ফোরাম আমাদের একটি শিশু সংগঠন। এ সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে আমাদের সকলকে স্ব-স্ব অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) আমাদের সহযোগিতা করবে কিন্তু মূল কাজটি আমাদের নিজেদেরই করতে হবে। সাক্ষাতকালে তারা দু’দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন। এছাড়া তাঁরা দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
স্পিকার বলেন, ভুটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থ-সামজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে ভুটান সবসময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। সংসদ ও সংসদীয় কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সব সময় আন্তঃ সংসদীয় সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টের সঙ্গে পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশীপ গ্রুপ গঠনের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
ভুটানের সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে স্পিকারকে অবহিত করে ভুটানের স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক চমৎকার। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত হবে এবং ভুটানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ভুটান বাংলাদেশের পাশে থাকবে। এছাড়া দু-দেশের সংসদীয় প্রতিনিধি সফরের মাধ্যমে পার্লামেন্ট ও সংসদ-সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক আরো নিবিড় হবে। এতে দু-দেশের গণতন্ত্র ও জনগণ উপকৃত হবে।