গ্যাটকো মামলায় খালেদা জিয়ার আবেদন হাইকোর্টে খারিজ

0

khaleda_303247জরুরি অবস্থার সময় দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে এই মামলার কার্যক্রম বিচারিক আদালত চলবে। একই সঙ্গে মামলার রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর দুমাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বেলা সোয়া ১টায় বিচারপতিদ্বয় এ রায় ঘোষেণা করেন। এর আগে দুপুর ১২টায় রায় পড়া শুরু করেন দুই বিচারক।
 মামলাটির কার্যক্রম বাতিলের জন্য আসামিদের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল। আজ আদালত তা বাতিল করলেন।
  দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর সাবেক চার দলীয় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেঁজগাও থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
 মামলার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর  মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরের বছর খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
 মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন। এ মামলার আসামিরা হলেন,
 বিগত চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম শামসুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও মতিউর রহমান নিজামী।

মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনের অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে আলাদা দুটি রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকো

এছাড়া দুদক আইনে গ্যাটকো মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৮ সালে একটি রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া। তার আবেদনে হাই কোর্ট আবারও মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। এবং মামলাটি কেন বাতিলের নির্দেশ দেয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেন।

 দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর দুদক মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নেয়।
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More