চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সংসদে বিল উত্থাপন

0

nasimদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান এবং সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে পৃথক দু’টি বিল উত্থাপন করা হয়েছে।
বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০১৬’ ও ‘রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০১৬’ নামের বিল দু’টি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করতে গত বছর বিল দু’টি অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। বিলটি পাস হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে বিদ্যমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবহার করা যাবে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এ দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় হলে উচ্চতর শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হবে। যার মাধ্যমে আরো দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
বর্তমানে দেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’ একমাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। বিল দু’টি পাস হলে আরো দু’টির কার্যক্রম শুরু হবে। সেক্ষেত্রে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ এবং ওই দু’টি অঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি অন্যান্য মেডিকেল কলেজগুলো এদু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হবে। যেগুলো এতদিন চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। বিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের গঠন ও ক্ষমতা, ইউজিসির (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) এখতিয়ার এবং পাঠদান পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বিলের বিধান অনুযায়ী, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দু’টিতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাঠদান করা হবে। সাধারণত ব্যাচেলর ডিগ্রি কলেজ পর্যায়ে পড়ানো হলেও নার্সিংয়ের ব্যাচেলর ডিগ্রি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হবে। যা একটি ব্যতিক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর (আচার্য) হবেন রাষ্ট্রপতি। চার বছরের জন্য ভিসি (উপাচার্য) নিয়োগ দেয়া হবে। একজন সর্বোচ্চ পর পর দুই মেয়াদে ভিসি থাকতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোভিসি থাকবেন একজন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়োগ দেয়া হবে।
বিলে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ হিসেবে থাকবে সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, ফ্যাকাল্টি, ডিনস কমিটি, কারিকুলাম কমিটি, ফাইন্যান্স কমিটি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সিন্ডিকেটের সভাপতি হবেন ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি)। এছাড়া সিন্ডিকেটে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার প্রতিনিধি রাখা যাবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More