নির্বাচন প্রশ্নে সংকট আছে, সংকট নেইঃ সমাধান কোথায়, কী বলছেন নেতারা

0

ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে। ঘণ্টা বাজছে ভোটের। আগামী ১০-১১ মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে সংসদ নির্বাচন। এ নিয়ে এরইমধ্যে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-বিতর্ক। কী পদ্ধতিতে হবে নির্বাচন? দলীয় নাকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে? দুই পক্ষই অনড়। শাসক দলের নেতাদের সাফ কথা, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিএনপি ও সমমনারা বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন নয়। এই পরিস্থিতিতে সমাধান কোথায়? কী বলছেন রাজনীতিবিদরা। আমাদের রিপোর্টার নূরে আলম জিকু এবং মো. আল-আমিন কথা বলেছেন মন্ত্রিসভার সদস্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে।

আনিসুল হক

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি’র সঙ্গে কোনো সংলাপের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। বাংলাদেশের একটি সংবিধান আছে।

জাতীয় নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে তা সম্পূর্ণভাবে সংবিধানে লেখা আছে। তাই সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিএনপিসহ অন্য দলগুলোকে সংবিধান মেনেই নির্বাচন করতে হবে। আমরা আশা করছি এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে যে নির্বাচন ব্যবস্থার সংকট চলছে এটা এখন স্পষ্ট। এটার সমাধান অবশ্যই আছে। ১০ দফায় আমরা সেটা উল্লেখ করেছি। দেশের মানুষের কাছে তা পরিষ্কার। সরকার পদত্যাগ করে, সংসদ বাতিল করে একটা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই এই সংকট নিরসন সম্ভব। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে।

মুজিবুল হক চুন্নু

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করার মূল দায়িত্ব সরকার ও নির্বাচন কমিশনের। তারা যদি আমাদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা চায়, তাহলে নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে আমরা কথা বলবো। এখনো আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই।

রাশেদ খান মেনন

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশে রাজনৈতিক সংকট তো আছেই। তবে অসমাধানযোগ্য সংকট দেখছি না। বিএনপি এর আগেও বলেছিল অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। কিন্তু তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। আমার ধারণা এবারো তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। এখন সংলাপের কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করছি না। সংলাপ কখন, কার সঙ্গে হবে সেটি পরিবেশ পরিস্থিতি বলে দিবে।

হাসানুল হক ইনু

সংবিধানের বিদ্যমান ধারাতেই আগামী নির্বাচন হবে জানিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়া এ ইস্যুতে বিএনপি’র সঙ্গে আলোচনায় বসতেও রাজি না। এমনকি বিএনপি থেকে সাংবিধানিক ধারা বানচাল করার চেষ্টা চালানো হলেও সরকার তা কঠোর হাতে প্রতিহত করবে এবং যথাসময়ে নির্বাচন করবে বলেও জানান তিনি। সংলাপের বিষয়ে তিনি বলেন, সংলাপ শুধু প্রকৃত গণতান্ত্রিক দলের সঙ্গে চলে। আগুন-সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। যারা সংকট তৈরি করার চেষ্টায় লিপ্ত তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। সংবিধানের ধারার মধ্যে কোনো ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু খেয়াল করেছি এই আলোচনা করার ইচ্ছা কারও নেই। আসলে তারা আগে ক্ষমতা দখল করতে চায়, পরে অন্যকিছু। এটা ক্ষমতা দখলের খেলা চলছে, নির্বাচনের না।

শেখ শহীদুল ইসলাম

জাতীয় পার্টি-জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, আমি বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক সংকট দেখছি না। এজন্য দেখছি না যে, একটি রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন দাবি থাকতেই পারে। গতবারও তাদের দাবি ছিল। কিন্তু তারা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচনে এসেছিল। আমি মনে করি নির্বাচনের আগে উভয় দলই সমঝোতায় আসবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি তো ইতিমধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করছে। একটা দল নির্বাচনে না আসলে কিছু যায় আসে না জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে মওলানা ভাসানী অংশ নেননি। এতে তো ১৯৭০ সালের নির্বাচন অবৈধ হয়ে যায়নি। তারা যদি এটাকে ব্যাপকতর করতে পারে যে আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না, তাহলে সংকট তৈরি হবে। তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিক সংলাপ না হলেও অনানুষ্ঠানিক সংলাপ চলছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বিএনপি ও অন্য দলের নেতাদের সংলাপ চলছে। আমরা যতদূর জানি তারা সমঝোতায় প্রায় পৌঁছে গিয়েছে।

রুহিন হোসেন প্রিন্স

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দেশে রাজনৈতিক সংকট রয়েছে। এই সংকট নিরসনে দরকার ভালো নির্বাচন। আর ভালো নির্বাচন আয়োজন করতে দরকার নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করা। বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতিতে ভালো নির্বাচন আশা করা যায় না। অতীত ও বর্তমানে প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি বা অন্য দল ক্ষমতায় থাকলে তাদের অধীনে ভালো নির্বাচন আশা করা যায় না। কারণ, আমাদের দেশে ওই ধরনের প্রতিষ্ঠানই গড়ে ওঠেনি। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নির্দলীয় তদারকি সরকার জরুরি। এই বিষয়ে সকল দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা দরকার।

রেদোয়ান আহমেদ

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার গত ১৫ বছরে প্রতিটি সেক্টরে তার নিজস্ব কাঠোমা তৈরি করেছে। অনেক কালাকানুন তৈরি করেছে। এখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসলে ওই সমস্ত কালাকানুন থেকে বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের মুক্ত রাখতে পারবে। যার কারণে সরকার নিরপেক্ষ হলে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেও অনেক সংকটাপন্ন পরিস্থিতি রয়ে যাবে। তারপরেও দেশের মানুষ অন্ততপক্ষে ভোট দিতে পারবে।

মাহমুদুর রহমান মান্না

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নির্বাচনী সংকট সরকার সৃষ্টি করেছে। তাদেরকেই এই সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। একটু সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সেই বার্তা সরকারকে দিয়ে আসছি।

আন্দালিব রহমান পার্থ

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে আগে সবাইকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার অনুধাবন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনোভাবেই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না।

নুরুল হক নুর

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, গত ৫০ বছরে আমরা একটা বিতর্কবিহীন নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারিনি। একটা স্বাধীন জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য এবং লজ্জার। বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে তুলে দিয়ে একটা সংকট তৈরি করেছে। এখন বিরোধী দলগুলো বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে পারে আমাদের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সুষ্ঠু নির্বাচন। সংকট উত্তরণে এটা একটা উত্তম পন্থা। কিন্তু দেশের যে বর্তমান সংকট সেটা শুধুমাত্র রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। রাজনীতিক, সামাজিক, ভূরাজনৈতিক সবমিলিয়ে এটা চরম সংকট আছে। এখান থেকে উত্তরণে আমরা মনে করি জাতীয় সরকার হতে পারে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে অন্তত ১-২ বছরের জন্য একটা জাতীয় সরকার কাজ করলে সংকট নিরসন সম্ভব হবে। জাতীয় সরকারের কাজ হচ্ছে রাষ্ট্রের যে ভঙ্গুর অবস্থা, এটাকে টেনে তোলা। কারণ আমাদের অর্থনীতি এখন খাদের কিনারে। ভূরাজনীতিতে বিভিন্ন দেশ এখন আমাদের দেশে আসছে, কথা বলছে। আমরা এটাকে কাজে লাগাতে পারি।

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ মানবজমিনকে বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মাঝে চরম আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। নির্বাচনী যে ব্যবস্থা বা সুশাসনের যে ব্যবস্থা- এটা কিন্তু ধসে গেছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনার অধীনে যে নির্বাচন হচ্ছে, তার প্রতি মানুষের আর এক বিন্দু আস্থা নেই। কারণ বিগত নির্বাচনগুলোতে মানুষ ভোট দিতে গিয়ে ভোট দিতে পারেনি। তো মানুষের ভেতরে এই বোধটা কাজ করছে যে, আমি ভোট দিতে যাব কিসের জন্য- আমাকে তো ভোট দিতে দেয়া হবে না। এই সংকট সমাধানে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সকল দলের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করা জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। এই জাতীয় সরকার সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সাজিয়ে অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

মুহাম্মদ ইবরাহিম

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন একেবারে অসম্ভব ব্যাপার। গত ১৪ বছরে রাজনীতিতে দূষণের মাত্রা এত বেশি হয়েছেন যে, এটাকে ২/৩ মাসের একটা কেয়ারটেকার সরকার দিয়ে শুদ্ধ করা প্রায় অসম্ভব। তারপরেও আমাদের বিশ্বাস যদি ক্ষমতাসীন দলসহ সকলেই মিলে সহযোগিতা করে তাহলে কিছুটা সুষ্ঠু, কিছুটা স্বচ্ছ একটা নির্বাচন সম্ভব। তিনি বলেন, এখন যারা নির্বাচন পরিচালনা করছেন তারা বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের আজ্ঞাবহ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। জনগণের আজ্ঞাবহ, জনগণের সুবিধাপ্রাপ্ত বা জনগণকে ভালোবাসে এমন লোক খুবই কম। সেজন্য তারা বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারকে ক্ষমতায় রাখার পক্ষে কাজ করছেন। এবং এজন্য যা করার তারা তা করবে। আর এই সরকারও সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের এত বেশি সুবিধা দিয়েছেন যে, বিশেষ করে যারা জ্যেষ্ঠ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের বেশি সুবিধা দিয়েছেন। এজন্য তারা ও বর্তমান সরকারকে যেকোনো মূল্যে টিকিয়ে রাখতে চায়। কতিপয় ব্যতিক্রম ছাড়া বেশির ভাগই সরকারের পক্ষে কাজ করছেন। এজন্য বর্তমান সরকারে অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব। বর্তমান নির্বাচন কমিশনটিও অনেক ক্ষেত্রে সরকারের আজ্ঞাবহ। সুতরাং বর্তমান সরকার পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

মোস্তফা জালাল হায়দার

জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনোভাবেই নির্বাচন করা সম্ভব না। এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব না। এজন্য আমরা যুগপৎ আন্দোলন করে আসছি। আমাদের দাবিগুলো অনেক আগে থেকেই জানিয়ে আসছি। দেশকে রক্ষা ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে কেয়ারটেকার সরকারের বিকল্প নেই। চলমান সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন।

জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। সরকারের পদত্যাগের মধ্যেই সমাধান আছে। এই সরকার পদত্যাগ করলে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া সম্ভব। এজন্য বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতার রূপান্তর লাগবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার লাগবে। তখনই জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।

মতিউর রহমান আকন্দ

জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, নির্বাচন নিয়ে বড় ধরনের সংকট রয়েছে। সংকট সমাধানের জন্য প্রয়োজন কেয়ারটেকার সরকার। কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠায় সংবিধান বাধা হবে না।

আহমদ আবদুল কাদের

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এই দেশের মানুষ একটু সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তবে এই সরকারের অধীনে তা সম্ভব নয়। আমরা আগে থেকেই বলে আসছি- নির্বাচনের ৩ মাস আগে বর্তমান সরকারকে বিদায় নিতে হবে। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। অতীতের মতো সরকারের কলাকৌশল আর টালবাহানার নির্বাচন জনগণ চায় না।

উৎসঃ   মানবজমিন
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More