পাহাড়িকা ট্রেনের আসন সংকট

0

trainপূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের সিলেট-চট্টগ্রাম রেলসড়কের মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনে উদয়ন ও পাহাড়িকা ট্রেনের আসন সংকট চরম আকার ধারণ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন চট্টগ্রামগামী যাত্রীরা। আর যাত্রীদের এই দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় রেল কর্তৃপক্ষ তাদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও আসন বাড়াতে পারছেন না।
বর্তমানে এ স্টেশন থেকে  চট্টগ্রামগামী আন্ত:নগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের জন্য শোভন শ্রেণীর ঞ কোচে মাত্র দুটি আসন রয়েছে। অথচ পর্যটন শহর শ্রীমঙ্গল থেকে প্রতিদিনই  প্রায় শতাধীক যাত্রী ষ্টেডিং টিকেট নিয়ে এ ট্রেনে চরে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
গত দেড় বছর ধরে শ্রীমঙ্গল থেকে এক এক করে  উদয়নের সবকটি কোচ (বগি) কেটে নেয়ায় এই আসন সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান স্থানীয় রেল কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ গত ১৪ জানুয়ারি উদয়ন ট্রেনের চল্লিশ আসন বিশিষ্ট ছ কোচটি কেটে নেয়ায় বর্তমানে শ্রীমঙ্গল ষ্টেশনে এ ট্রেনের আসন সংখ্যা প্রায় শূন্যার কোটায় নেমে এসেছে। তাছাড়া চট্টগ্রামগামী অপর ট্রেন পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের যাত্রীদের জন্যও  শ্রীমঙ্গল স্টেশনে মাত্র আটটি আসন রয়েছে। দুটি আসন রয়েছে লাঙ্গল কোটের্র। এই ট্রেনে করেও প্রতিদিন দেড়শতাধিক যাত্রী স্টান্ডিং টিকিট নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন। পয়তাল্লিশ আসনের পাহাড়িকার ঞ কোচটি  কেটে নেয়া হয় গত বছরের ২৬ জুন। এদিকে শ্রীমঙ্গলে চাহিদা অনুযায়ী আসন না থাকায় যাত্রীদের পার্শ্ববর্তী সিলেট, কুলাউড়া, শমসেরনগড় ও শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন থেকে অধিক মূল্য টিকেট এনে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল স্টেশনের টিকিট বুকিং সহকারি মো. আফিজুল হক বলেন, বিভিন্ন সময়ে মেরামোতের ও যাত্রিুক ক্রটির  কথা বলে ওই দুটি ট্রেনের কোচ (বগি)  কেটে নেয়া হয়েছে। যার কারণে এই আসন সংকট দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন চাহিদার তুলনায় আসন সংখ্যা কম থাকায় প্রতিদিনই যাত্রিদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার (ভারপ্রাপ্ত) সাখাওয়াত হোসেন  বলেন, কোচ বাড়ানোর জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। অদ্যাবধি নতুন কোচ সংযোজন না করায় এ স্টেশনে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের  চীফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (পূর্ব)  সরদার সাহাদাত আলী মানবকণ্ঠকে বলেন, শ্রীমঙ্গলে উদয়ন ও পাহাড়িকা ট্রেনের আসন সংকটের বিষয়টি তার জানা নেই।
তবে তিনি বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত কোচ না থাকায় রিপ্লেসমেন্ট করা সম্ভব হয়নি। আগামী মার্চ-এপ্রিলে নতুন কোচ আসবে, তখন আসন সংকট থাকবে না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More