[ads1]গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিসান বেকারি নামের রেস্টুরেন্ট থেকে জিম্মিদের উদ্ধারে মূল অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযান শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই ৫ জনকে উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে কিছুক্ষণ আগেই ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। উদ্ধার করা পাঁচজনের পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। এদের মধ্যে নারী ও শিশুসহ একজন বিদেশিও আছেন বলে জানা গেছে।
এরপর ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে একটা অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে গেছে। তবে সেখানে ক’জন আছেন তা জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত মোট ১৩ জন উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে গতরাতে হামলা শুরুর পর থেকেই সবরকম প্রস্তুতি শুরু করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। অপেক্ষা ছিল সেনাবাহিনীর। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত হয়েছেন। ভেতরে ঢুকেছে ৯টি সাজোয়া যান (এপিসি)।
শনিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনীর বড় পাঁচটি ট্রাক, ছোট জিপ ১০টি, নয়টি ট্যাংকের মতো দেখতে সাজোয়া যানসহ বিশাল বহর আসে।[ads2]
এদিকে সেনাবাহিনী আসার কিছুক্ষণ পরই অর্থাৎ সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে মূল অভিযান শুরু করা হয়। সেনা সদস্যদের সঙ্গে অভিযানে অংশ নেয় নৌবাহিনীর কমান্ডো, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের বিশেষ বাহিনী।
অভিযান সম্পর্কে ঘটনাস্থলে থাকা সংবাদকর্মীরা জানান, গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে ছুড়তে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় ভেতরে থাকা জঙ্গিরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গ্রেনেড ছোড়ে। এরপর আপাতত গোলাগুলি শব্দ বন্ধ রয়েছে।
পুলিশের বিশেষায়িত টিম সোয়াত, জঙ্গি দমন সংক্রান্ত বিশেষ টিম, বিজিবি সদস্যরা ভেতরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে। র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে আশপাশ ঘিরে রেখেছে।
উল্লেখ্য, রাত সাড়ে ৯টার দিকে হলি আর্টিসানে হামলা করে কয়েকজন অস্ত্রধারী। এসময় তারা বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেস্টুরেন্টের অবস্থানকারীদের জিম্মি করে। সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন প্রচুর সংখ্যক পুলিশ সদস্য। [ads1]