ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে ফেইসবুকে কটূক্তির অভিযোগে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতা রাকেশ রায়কে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সাজা প্রাপ্ত রাকেশ রায় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। উগ্র সাম্প্রদায়িক এই সংগঠনের নেতারা প্রায়ই ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখতে শোনা যায়।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় সিলেটর সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুল কাশেম এই রায় ঘোষণা করেন।
জামিনে থাকা রাকেশ রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তফা দিলওয়ার আল আজহার বলেন, যুক্তিতর্ক শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত রাকেশ রায়কে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে।
রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন রাকেশের আইনজীবী ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আইনজীবী হিসেবে আমি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বলতে পারি না। তবে ন্যায়বিচারের আশায় আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
২০১৭ সালের জুনের শুরুতে রাকেশের বিরুদ্ধে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেন ফুযায়েল আহমদ নামের এক ব্যক্তি। এজাহারে তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ইসলাম ধর্ম, মহানবী (সা.) ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ আনা হয়। ফুযায়েল ও রাকেশ একই উপজেলার বাসিন্দা।
মামলার পর ২০১৭ সালের ৭ জুন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা থেকে রাকেশকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার শাসনামলে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে অবমাননার ঘটনা আশঙ্কাজনক-হারে বেড়েছে। আওয়ামী লীগের হিন্দুত্ববাদী ভারত-তোষণের সুযোগ নিয়ে হিন্দু সাম্প্রদায়িক সংগঠনগুলোর স্থানীয় পর্যায়ের নেতা ও সমর্থকরা প্রায়ই সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছেন।