আধুনিক শহুরে জীবনে, ফাস্টফুডে, বাসা বাড়িতে ফার্মের মুরগী খাওয়ার হার বহু অংশেই বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু মুরগী বা মুরগীর মাংসের নাম করে আমরা আসলে কী খাচ্ছি? ক্যানসারের কারণ আর্সেনিক খাচ্ছি। গত বছর এক রিপোর্টে আমেরিকান খাদ্য ও ঔষধ বাজারজাতকরণ প্রশাসন এফডিএ শিকার করেছে যে বাজারে যেসব মুরগীর মাংস বিক্রয় করা হচ্ছে সেসবের শরীরে প্রমান মিলেছে ক্ষতিকারক আর্সেনিকের।
এই আর্সেনিকের প্রধান উৎস হচ্ছে পোল্ট্রি ফ্রামে মুরগীর খাদ্য। মুরগীকে যেসব খাবার খাওয়ানো হচ্ছে সেই খাবারের মদ্ধেই রয়েছে আর্সেনিক। এবং এই খাদ্য খাওয়ার পর আর্সেনিক সম্পূর্ণ ভাবে হজম না হয়ে সংক্রামিত হচ্ছে মুরগীর মাংসে। এবং বাজার থেকে আমরা যখন মুরগীর মাংস কিনে খাচ্ছি তখন সেগুলো চলে আসছে মানব দেহে। প্রশ্ন আসতে পারে, মুরগী রান্না করলে কী এই আর্সেনিক ধ্বংস হয়না?
না, রান্না করলে মুরগীর মাংসে যে আর্সেনিক থাকে তা ধংস হয় না। আমরা যেই তাপে রান্না করে থাকি আর্সেনিকের স্ফুটনাংক তাঁর চাইতেও বেশি তাই আর্সেনিক ধ্বংস হয় না বরং মুরগীর শরীরে থেকে যায়।
যদিও পোলট্রি মালিক এবং আমেরিকান খাদ্য পরীক্ষণ প্রশাসন দাবি করে আসছে যে মুরগীর খাবারের মধ্যে যে আর্সেনিক থাকে তা খাওয়ার পর ধ্বংস হয়ে যায় কিন্তু এটি সত্য নিয়। তারা আসলে তাদের বাজার ধরে রাখার জন্য এই তথ্য ক্রেতাদের দিয়ে থাকেন। জা একটি মনগড়া তথ্য ছাড়া আর কিছুই না।
আর্সেনিক সাধারণত কিডনি বা লিভারের কোষেরভিতরে ঢুকে সেলের ফসফরাসকে প্রতিস্থাপন করে কোষে শক্তি উৎপাদন বন্ধ করেদেয় এবং কোষ গুলো মারা যায়। ফলশ্র“তিতে লিভার, কিডনি, ফুসফুস ইত্যাদিক্যান্সারাক্রান্ত হয়। তা ছাড়া আর্সেনিক রক্ত সংবহনে বাঁধা দেয়ার ফলেঅ্যানিমিয়া, লিউকোপেনিয়া দেখা দেয় এবং অস্থিমজ্জায় পচন ধরে।
সুতরাং ফার্মের মুরগী খাওয়ার আগে দ্বিতীয়বার ভেবে দেখা উচিৎ জেনে শুনে ক্যানসারের আর্সেনিক খাবেন নাকি খাবেন না।