[ads1]ঢাকা : বাংলাদেশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ জুন) পবিত্র রমজান শুরু হবে। আজ রাতেই তারাবির নামাজ আদায় করে সেহেরি খেয়ে রোজা রাখবেন বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
অবশ্য রোববার চাঁদ দেখা যাওয়ায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে এবং পুরা ইউরোপে রোজা শুরু হয়েছে আজ সোমবার থেকেই।
রোজা মুসলমানদের ফরজ ইবাদতের একটি। শরিয়তের পরিভাষায় সুবহে সাদিক থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌনাচার থেকে বিরত থাকার নাম রোজা। ইসলামের ৫ টি স্তম্ভের একটি অবশ্য পালনীয় এ রোজা মুসলমানদের উপর ফরজ করা হয়েছে হিজরি দ্বিতীয় বর্ষের শাবান মাসে।[ads1]
হিজরি বর্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে গণনা শুরু হয় ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমরের শাসনামল থেকে। ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মোহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে মদীনায় হিজরতের দিন থেকে এ বর্ষের সময় ধরা হয়। পরবর্তীতে মুসলিম জ্যোতিবিজ্ঞানিরা হিসাব করে আরবি এ বর্ষ শুরুর সময় নির্ধারণ করেন।
বিশিষ্ট মুহাদ্দিস আল্লামা ইউসুফ বান্নুরি (রহ.) বর্ণনা অনুয়ায়ী, হিজরি দ্বিতীয় সালের ১০ শাবান রোজা ফরজ করা হয় এবং ওই সালেই কিবলা পরিবর্তন, জাকাত ও সদকায়ে ফিতরের হুকুম প্রদান করা হয়।
আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া কিতাবে লেখেন, হিজরি দ্বিতীয় সনের শাবান মাসে বদর যুদ্ধের আগে রোজা ফরজ করা হয়।[ads1]
রোজার ইতিহাস অনেক পুরনো। আগেকার নবী, রাসুলদের উম্মতরাও রোজা রেখেছেন এবং তাদের ওপরও যে রোজা ফরজ ছিল। পবিত্র কোরআন মজিদের নিম্নোক্ত আয়াত থেকে বোঝা যায়। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের ওপর, যাতে তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পারো।’ (সূরা বাকারা-১৮৩)।
হাদিসে রোজার মাসকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ১০ দিন রহমতের, মাঝের ১০ দিন মাগফিরাতের এবং শেষ ১০ দিন নাজাতের। ইসলামিক চিন্তাবিদদের মতে, রহমতের প্রথম ১০ দিন আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমত বা দয়া বর্ষণ করেন দ্বিতীয় ১০ দিন আল্লাহ সুবহানু তায়লা তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করেন এবং তৃতীয় ১০ দিন আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জাহান্নাম থেকে নাজাত বা মুক্তি দিয়ে থাকেন।[ads1]