রোয়ানু তাণ্ডব: প্রাণহানী, বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি

0

rowanuবঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আরও এগিয়ে এসেছে। পৌঁছে গেছে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটারের মধ্যে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এর প্রভাবে শনিবার ভোর থেকেই দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ঝড়ের প্রভাবে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় গাছের নিচে চাপা পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক লোক। বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক শ ঘরবাড়ি। শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভোলায় নিহত দুজন হলেন আক্রাম হোসেন (৪৫) ও রেখা বেগম (৩৫)। তাদের বাড়ি শশীগঞ্জ গ্রামে।
আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এছাড়া আবহাওয়া অধিদফতর থেকে চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সারা দেশের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
রোয়ানু উপকূল অতিক্রম করার সময় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ফেনী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর জেলা এবং সংলগ্ন দ্বীপ ও চরগুলোতে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সেইসঙ্গে ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে ঝড়ো হাওয়া।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও কক্সবাজারের উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ২১ লাখ ১৮ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সারা দেশে ৩ হাজার ৮৫১টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More