শাহ আলম সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রেল
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন: অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে টেন্ডার, ইজারা ও দখল বাণিজ্য: দুবাই ফেরত চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবর বাহিনীর দাপট
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি) এলাকায় আতঙ্কের নাম ‘শাহ আলম সিন্ডিকেট’। এই চক্রে ভিড়েছে দুবাই ফেরত স্থানীয় শীর্ষ সন্ত্রাসী হেলাল আকবর চৌধুরী ওরফে বাবরের অস্ত্রবাজ বাহিনী। বাবর ভারতে পলাতক চট্টগ্রামের ত্রাস সুনীল দের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
এই বাহিনীর সঙ্গে রেলের প্রধান প্রকৌশলীসহ সিআরবির কিছু অসৎ কর্মকর্তার যোগসাজশের অভিযোগও আছে। তাদের দাপটে চলছে গোটা রেলওয়ের টেন্ডার, ইজারা ও দখল বাণিজ্য। অভিজ্ঞতার ভুয়া সনদ দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে রেল সচিবালয় ভবন ও পদ্মা রেল প্রজেক্টের মতো স্পর্শকাতর প্রকল্পের কাজও বাগিয়ে নিয়েছে এই চক্রে জড়িত অদক্ষ ঠিকাদাররা।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এই সিন্ডিকেটের হাতে এখন জিম্মি রেল। আর এসবের হোতা চট্টগ্রামের কুখ্যাত বরিশাল কলোনিতে বেড়ে ওঠা স্থানীয় পূর্ব মাদারবাড়ী ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি শাহ আলম। তার এলাকার লোকজনের ভাষ্য, রেলকেন্দ্রিক নানা ধরনের অবৈধ বাণিজ্য কবজা করে জিরো থেকে হিরো বনে যাওয়া শাহ আলম এখন কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক। যুগান্তরের সরেজমিন অনুসন্ধানে এসব তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া যুগান্তরকে বলেন, ‘সিআরবিতে বাইরের লোকজনের প্রভাব আছে বলে আমরাও শুনতে পাই। তাদের সম্পর্কে সব মহলই জানে। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তাছাড়া ইজিপি টেন্ডার সব জায়গা থেকে জমা দেওয়া যায়। আমি চেষ্টা করলেও কন্ট্রোল করতে পারি না। এখন কোনো ঠিকাদার যদি কারও কারণে টেন্ডার জমা না দেয়, আমাদের কী বলার আছে।’
সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদ দিয়ে কাজ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি কাজ যাচাই-বাছাইয়ের পর তা ঠিক থাকলেই ঠিকাদাররা কাজ পান।’
আপনি যে বেতন পান, তা দিয়ে কি সপ্তাহে আটবার বিমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত করা সম্ভব-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জরুরি মিটিং থাকলে আমাকে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলমান সাইড ভিজিটে যাই। তবে বিমানে খুব কম যাই। যখন ট্রেনের টিকিট না পাই, তখন বিমানে যাওয়া হয়।’
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত নথিপত্র থেকে জানা যায়, এই চক্রে জড়িত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-শাহ আলমের মালিকানাধীন এসএ করপোরেশন ও ইউনিক ট্রেডার্স, নওফেল আহমেদের মেসার্স হাইটেক কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এবং মো. বিল্লাল হোসেনের (বেলাল হুজুর নামে পরিচিত) মোহাম্মদী ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইউনিকন লিমিটেড। ২০১৯ সালের আগে এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কনস্ট্রাকশন কাজের কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও ২০২০-২০২১ ও ২০২১-২০২২ অর্থবছরে অভিজ্ঞতার ভুয়া সনদ দিয়ে কোটি কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিয়েছে।
অভিযোগ আছে, নিজেদের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে কাজ বাগিয়ে দিতেও তারা সহযোগিতা করে। এক্ষেত্রে কাজ পেতে ১০ পার্সেন্ট কমিশন গুনতে হয় ঠিকাদারদের। এর মধ্যে কাজভেদে ২-৫ পার্সেন্ট প্রধান প্রকৌশলী, ২ পার্সেন্ট জেনারেল ম্যানেজার এবং ১ পার্সেন্ট অর্থ ডিএনকে (ডিভিশনাল চিফ) দিতে হয় বলে অভিযোগ আছে। বাকি অর্থ যায় সিন্ডিকেট হোতাদের পকেটে।
রেলওয়ের শুধু একটি ডিভিশনের (ডিএন-৩) সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চুক্তিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সিন্ডিকেটভুক্ত চট্টগ্রামের ছয়টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত দুই বছরে ঢাকার অন্তত ১১টি কাজ বাগিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে রেলওয়ের শীর্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একটি তমা কনস্ট্রাকশন রেল সচিবালয় ভবনের দুটি ফ্লোরের (৯ ও ১০ তলা) ১৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার এবং পদ্মা রেল লিংক প্রজেক্টের ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার কাজও বাগিয়ে নিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে রেল ভবনের কাজের বরাদ্দ দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৩৩ কোটি টাকা করার দুরভিসন্ধি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জানতে চাইলে সিন্ডিকেট প্রধান শাহ আলম যুগান্তরকে বলেন, ‘আমার কোনো সিন্ডিকেট নেই। একেক সময় একেক গ্রুপ রেলের কাজ কন্ট্রোল করে। যখন যাদের প্রভাব থাকে, তাদের ম্যানেজ করেই কাজ নিতে হয়। এখন ফুল কন্ট্রোল বাবর ভাইদের হাতে। অনেক উইংকে ম্যানেজ করে কাজ নিতে একটা নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজও দিতে হয়।’
শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবরের যোগসাজশে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আপনি রেলের টেন্ডার, ইজারা ও দখল বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছেন কি না-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাবরের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই। রেলের কোনো জায়গা আমার অবৈধ দখলেও নেই। তবে ইজারা নিয়ে কিছু জায়গা আমি ভোগদখল করছি। কোনো জায়গা অবৈধ দখলে নিয়ে বাগানবাড়ি করার তথ্য ঠিক না। আর আমার স্থানীয় যুবদলের সভাপতির পদে থাকার তথ্যও মিথ্যা।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য কমলাপুরের ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ী মো. বিল্লাল হোসেন। প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ছাড়াই তিনি একের পর এক কোটি কোটি টাকার কাজ (১০ পার্সেন্ট কমিশনে) বাগিয়ে নেন। তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনিকন লিমিটেড ২০২০-২০২১ অর্থবছরে অন্তত ৫টি কাজ নিয়েছে। এর মধ্যে পদ্মা রেলের লিংক প্রজেক্টের ২ কোটি ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকার কাজও পান তিনি। তার মালিকানাধীন একই নামের কোম্পানি (ইউনিকন লিমিটেড) রেল প্রকল্পে পাথর সরবরাহের ২ কোটি ৪৯ লাখ টাকার কাজও বাগিয়ে নেয়।
রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া শাহ আলম সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক বলেও সিআরবির ভেতরে-বাইরে গুঞ্জন আছে। নির্ধারিত অঙ্কের বেতনে চাকরি করলেও প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার বিমানে ঢাকায় আসেন আবু জাফর। শনিবার বিকালে আকাশপথেই ফিরে যান চট্টগ্রামে। ঢাকায় অবস্থানকালে তিনি কমলাপুর রেলওয়ের গেস্টহাউজে বসে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন বুঝে নেন বলে জানান রেলের এক ঠিকাদার। দুর্নীতি দমন কমিশন ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আবু জাফর ও শাহ আলম সিন্ডিকেটের সদস্যদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিলে তাদের বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানান ওই ঠিকাদার।
অভিজ্ঞতা না থাকার পরও এসব কাজ কীভাবে বাগালেন-এমন প্রশ্নের জবাবে মো. বিল্লাল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ‘আমার কোম্পানির যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। ছোট ছোট কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়েই আমি বড় কাজ পেয়েছি। শাহ আলম সিন্ডিকেটের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি কাজের বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারব না।’
ইজারা ও দখল বাণিজ্য
জানা যায়, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের আগে শাহ আলম সিন্ডিকেটের মূল বাণিজ্য ছিল রেলের জায়গা-সম্পত্তি দখল ও ইজারা বাণিজ্য। ইজারা সূত্রে রেলের একরের পর একর জায়গার ‘মালিক’ বনে গেছেন শাহ আলম। রেলের কোনো কিছু একবার ইজারা নিতে পারলে সেগুলোকে তিনি ‘পৈতৃক সম্পত্তি’ বানিয়ে ফেলেন। দখল বজায় রাখতে কূটকৌশল হিসাবে নেন আদালতের নির্দেশ। এভাবে অনেক জায়গায় স্থাপনা তৈরি করে তিনি ভাড়া দিয়েছেন। আবার কয়েকটি জায়গা দখলে নিয়ে দোকান নির্মাণ করে বিক্রিও করেছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, খোদ সিআরবির ভেতর জায়গা দখল করে তাসফিয়া চাইনিজ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট খুলে বসেছেন শাহ আলম। ছয় মাস আগে চট্টগ্রাম সিটি কলেজের সামনে রেলওয়ের জায়গা ইজারা নিয়ে ২৭০টি দোকান বানিয়ে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা ‘সালামির’ বিনিময়ে বিক্রি হয়। স্থানীয়রা জানান, ইজারা নেওয়ার সময় রেলওয়ের তৎকালীন জেনারেল ম্যানেজারের সই জাল করেন শাহ আলম। এরপর জায়গা দখলে নিয়ে মার্কেট তৈরি করে প্রতিটি দোকান ১০-২০ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। চট্টগ্রাম পুরোনো রেলওয়ে স্টেশনের হোটেল হেরিটেজ দখলে রেখেছেন ১০ বছর ধরে। চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের একটি ফ্লোর কম মূল্যে ইজারা নিয়ে উচ্চমূল্যে তৃতীয় পক্ষকে ভাড়া দিয়ে পাচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা। চট্টগ্রাম নতুন রেল স্টেশনে ১ হাজার গাড়ি ধারণক্ষমতার পার্কিং ইজারা নিয়ে ৬ বছর ধরে দখলে রেখেছেন। হালিশহর এলাকায় রেলের প্রায় ৫০০ কোটি টাকা দামের ১২ একর জায়গা দখল করে শাহ আলম তৈরি করেছেন বিশাল বাগানবাড়ি। এছাড়াও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের সব দোকান ইজারা নিয়ে তৃতীয় পক্ষকে ভাড়া দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন শাহ আলম ও তার লোকজন। চট্টগ্রাম নতুন স্টেশনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার গেস্টহাউজও শাহ আলম সিন্ডিকেটের কবজায়।
চার ট্রেন দখলে ১৪ বছর
জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম চলাচলকারী সুবর্ণা এক্সপ্রেস, তূর্ণা নিশিথা, চট্টগ্রাম-সিলেট চলাচলকারী পাহাড়িকা উদয়ন ও ঢাকা-মহনগঞ্জ রুটের হাওড় এক্সপ্রেসের অনবোর্ড ঠিকাদারি (ক্যাটারিং ও জনবল সরবরাহ) ১৪ বছরের বেশি সময় কবজায় রেখেছেন শাহ আলম।
জানা যায়, প্রতিবছর টেন্ডারের মাধ্যমে এ কাজের ঠিকাদার নির্ধারণ করার নিয়ম থাকলেও তা করা হচ্ছে না। রেলের অসৎ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে গোপনে ইজারার মেয়াদ বাড়িয়ে নেন তিনি। কর্মকর্তাদের মনোরঞ্জন ও ঘুস লেনদেনের জন্য ৩৩ সেগুনবাগিচায় (দুদক কার্যালয়ের উলটোদিকে) নাভানা বিল্ডিংয়ের ৪/৩ নম্বর ফ্ল্যাট কিনে রেখেছেন শাহ আলম।
অস্ত্রবাজ বাহিনী
একাধিক ঠিকাদারের অভিযোগ, সিআরবির একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ নিতে শাহ আলম কাছে টানেন চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী হেলাল আকবর চৌধুরী ওরফে বাবর ও তার বাহিনীর অস্ত্রবাজদের। এই বাহিনীর দাপটেই রেল জিম্মি করেছেন তিনি। আন্ডারওয়ার্ল্ডের সূত্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে বাবর সম্পর্কে জানা গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চট্টগ্রামের একসময়ের ত্রাস ভারতে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী সুনীল দের সেকেন্ড ইন কমান্ড বাবর ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে পালিয়ে ব্যাংকক চলে যান। ২০০৬ সালে সেখানে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ সময় জেলে থাকেন।
২০১১ সালে জেল থেকে বেরিয়ে ব্যাংককের আদালতের মাধ্যমে টুরিস্ট পাশ নিয়ে পাড়ি জমান দুবাই। সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাসপোর্ট বানিয়ে দেশে ফিরেন ২০১২ সালে। এরপর প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যপদ বাগিয়ে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেন। ২০১৩ সালে সিআরবিতে সংঘটিত জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িয়ে গ্রেফতার হলে যুবলীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। ওই খুনের ঘটনায় টিটু দাস, বাবুলসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। জামিনে বেরিয়ে বেপরোয়া হলে প্রশাসনিক তৎপরতার মুখে ২০১৮ সালে ফের দুবাই পালিয়ে যান বাবর।
২০২১ সালে দেশে ফিরে যোগ দেন সিআরবিকেন্দ্রিক পরিচালিত শাহ আলমের সিন্ডিকেটে। ভারতে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী সুনীল দের রেখে যাওয়া অস্ত্রভান্ডার বাবরের ক্যাডার বাহিনীর দখলে থাকায় চট্টগ্রামে এই বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বাবরের অস্ত্রবাজ বাহিনীর নেতৃত্ব দেন জনৈক ফেরদৌস।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর যুগান্তরকে বলেন, ‘আমার কোনো অস্ত্রবাজ বাহিনী নেই। আমি ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক। ইজিপি টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগ নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি একসময় দেশত্যাগ করে ব্যাংককে যাই। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সেখানে হেফাজতে ছিলাম। আর সিআরবির জোড়া খুনের মামলায় আমাকে আসামি করা হলেও তদন্তে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।’ আপনি সুনীল দের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন কি না-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনার কাছে যা যা তথ্য আছে সব ভালো করে ছাপিয়ে দেন।’
jugantor