[ads1]ঢাকা : উপমহাদেশের প্রথম নারী সাপ্তাহিক ‘বেগম’ পত্রিকার সম্পাদক নূরজাহান বেগমের (৯১) মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
সোমবার (২৩ মে) সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই মহীয়সী নারী। বেশ কিছুদিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন নূরজাহান বেগম।
শোকবার্তায় বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, সাহিত্য ক্ষেত্রে মেয়েদেরকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যেই উপমহাদেশের ব্রিটিশ শাসনের শেষ বছরেই ‘বেগম’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। মেয়েদেরকে সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় সম্পৃক্ত করার মহান ব্রত নিয়েই বেগম পত্রিকা তার পথচলা শুরু করে। নুরজাহান বেগম ছিলেন এই পথচলার অগ্রদূত।[ads2]
খালেদা জিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ‘বেগম’ এদেশের নারী সমাজের কাছে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেছে। বিংশ শতাব্দির মধ্যকালে তৎকালীন সংস্কারাচ্ছন্ন সমাজে পিছিয়ে পড়া নারী সমাজের জন্য এ ধরনের পত্রিকা প্রকাশ ছিল একটি সাহসী উদ্যোগ।
নূরজাহান বেগমের সাহসী সম্পাদনার মধ্য দিয়ে বেগম পত্রিকাটি এদেশের শিক্ষা, সাহিত্যে উৎসাহী নারী সমাজের কাছে ছিল এক অপূরণীয় প্রেরণা। তার পত্রিকাতে লেখার সুযোগেই এদেশের অনেক নারী, সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিমান হয়েছেন, বলেন খালেদা।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিংবদন্তিতুল্য সাংবাদিক ‘সওগাত’ পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিনের কন্যা হিসেবে নূরজাহান বেগমও নিজেকে একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। আর এজন্যই তিনি সকল প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয় শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হবেন। তার মৃত্যুতে দেশবাসীর ন্যায় আমিও গভীরভাবে সমব্যথী।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নূরজাহান বেগমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারবর্গ, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।[ads1]
আরেক শোকবার্তায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নুরজাহান বেগম নারী সমাজের অগ্রগতি তথা শিক্ষা, সাহিত্য ও জ্ঞানবিকাশের অনন্য দিশারী। তিনি যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান হিসেবে সাংবাদিকতায় একটি স্বতন্ত্র মাত্রা যোগ করেন।
তিনিও নূরজাহান বেগমেরর রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবার, গুণগ্রাহী ও নিকটজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।