সমবায়ে আছে এক বাবলা, ছোট চাকরি তার, ধনসম্পদে রাজার হাল

0

সরকারি চাকরিতে ২৬ বছর চলছে। বড় কোনো কর্মকর্তা নন। অফিস সহকারী পদে চাকরি জীবন শুরু। পদোন্নতি পেয়ে এখন উচ্চমান সহকারী। তবে সমবায় অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাবলা দাশ গুপ্তের জীবনের চাকচিক্য গল্পকেও হার মানাবে।

দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও অর্থলোপাট করে বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক বাবলা। তার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগও আছে। আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে সরকারি চাকরি দিয়েছেন। দুর্নীতি করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বিদেশে গড়েছেন বিপুল ধনসম্পদ।



১৯৯৬ সালে অফিস সহকারী হিসেবে সমবায় অধিদপ্তরে চাকরি শুরু হয় বাবলা দাশের। ২০০৯ সালে পদোন্নতি পেয়ে উচ্চমান সহকারী হন। বর্তমানে সমবায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত বাবলার হাতে যেন ‘আলাদিনের চেরাগ’।

জানা গেছে, সমবায়ে বাবলার ক্ষমতার দাপটে তটস্থ থাকেন অফিসের সবাই। যারাই তার বিরুদ্ধে কথা বলেন তাদেরকে যেখানে-সেখানে বদলি করে দেন। কিন্তু তিনি নিজে সমবায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ছাড়েননি।

কারণ, সমবায় অধিদপ্তরের নিয়োগ বাণিজ্য, পদোন্নতি, পোস্টিং, ডাম্প পোস্টিং, শাস্তি প্রদানের নিয়ন্ত্রণ অলিখিতভাবে তার হাতে। তাছাড়া নতুন নিবন্ধন, নিবন্ধিত সমবায়ের নবায়ন, অডিট, পরিদর্শন, সমিতিগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠান, পাতানো নির্বাচন দেখিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের হাতে সমিতি কুক্ষিগত করে রাখায় সহযোগিতাসহ বিশেষ কর্মগুলো তাকে ছাড়া প্রায় অসম্ভব।

বাবলা দাশের গুপ্তধনের সন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই মধ্যে বাবলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি। যদিও মহাপরিচালক (ডিজি) তরুণ কান্তি শিকদারের দাবি, বাবলা দাশের অতো ক্ষমতা নেই। বাবলার বিরুদ্ধে লিখিত কোনো অভিযোগ পাননি বলেও দাবি তার।

তবে সমবায় অধিদপ্তরের ডিজি স্বীকার করছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাবলা সমবায়ে কর্মরত এবং তার পরিবারের পাঁচজন সমবায় অধিদপ্তরে চাকরি করেন। তবে তাদের যোগ্যতা আছে বলেই তারা এখানে চাকরি পেয়েছেন।

জানা গেছে, বাবলা দাশ ছোট ভাই, ভাবি, স্ত্রী ছাড়াও পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, দূর সম্পর্কের ভাই-ভাগ্নি, শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়-স্বজন, হাউজ টিউটরকেও বিমুখ করেননি।

অভিযোগ আছে, অধিদপ্তরে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় মেধাবীরা টিকলেও পরবর্তীতে ঘুষ না দেয়ায় তাদেরকে বাতিল বলে গণ্য করা হয়। পরে বাবলার লোকজনকে অর্থের বিনিময়ে চাকরিতে ঢোকানো হয়।

এভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে বাবলা দাশ করেছেন বিপুল ফ্ল্যাট, প্লট ও বাড়ি। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশেও গড়েছেন ধনসম্পদ। সেখানেও প্রায় আসা যাওয়া আছে তার।

২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক (বর্তমানে অতিরিক্ত নিবন্ধক, সমিতি ব্যবস্থাপনা) আহসান কবীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বাবলা দাশ গুপ্তকে কক্সবাজার বদলি করেন।



সেখানে বলা হয়, উচ্চমান সহকারী বাবলা দাশ গুপ্তকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা সমবায় কার্যালয়ের প্রধান সহকারী পদে বদলি করা হলো। চিঠিতে আরও বলা হয়, ১৩ সেপ্টেম্বর পূর্বাহ্নে তাকে এ দপ্তর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত করা হলো। কিন্তু এই আদেশের পরেও বাবলা দাশ ঢাকা ছাড়েননি।

এদিকে বাবলার ছেলে শৈবাল দাশ শুভ ভারতের কলকাতায় থেকেই পড়াশোনা করেন। সেখানে বাবলার ফ্ল্যাট, প্লট ও বাড়ি রয়েছে। দেশটিতে নিজের গড়া একটি ফ্ল্যাটে থেকে পড়াশোনা করে বাবলার ছেলে শুভ।

প্রতারণার মাধ্যমে ছোট ভাইকে চাকরি:

২০১২ সালে বাবলা দাশ ছোট ভাই সঞ্জয় দাশ গুপ্তকে চাকরি পাইয়ে দেন। পদের নাম ছিল সরেজমিন তদন্তকারী। নিয়োগের সর্বনিন্ম যোগ্যতা ছিল বিএ বা গ্র্যাজুয়েশন। কিন্তু চাকরি নেয়ার সময় সঞ্জয়ের বিএ বা গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট ছিল না। অন্যান্য রেকর্ডপত্রের সঙ্গে তিনি দাখিল করেন একটি বিতর্কিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর সনদ। পরে জানা যায়, এই সনদটিও জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়। এই সঞ্জয় বর্তমানে সমবায় অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে কর্মরত আছেন।

আত্মীয়র মধ্যে যত চাকরি দিয়েছেন বাবলা:

বিতর্কিত সমবায় নেত্রী মা সাধনা দাশগুপ্তের মাধ্যমে সমবায় অধিদপ্তরে চাকরি পান বাবলা দাশ। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকে হয়নি। মোটা অঙ্কের বিনিময়ে সমবায় অধিদপ্তরে ঢুকিয়েছে নিজের পছন্দের মানুষকে। আর বনে গেছেন বিপুল অর্থবিত্তের। তাছাড়া বাবলার আশীর্বাদ ছাড়া কোনো কর্মচারীর পদোন্নতি হয় না। এসব নিয়োগ এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে পদদলিত করা হয়েছে কোটা ও বিধিবিধান।

জানা গেছে, জয়শ্রী দাশ, যিনি বাবলা দাশের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচিত। জয়শ্রী চট্টগ্রাম সমবায় কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। একসময় এই জয়শ্রীকে অফিস সহকারী পদে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন বাবলা দাশ। পরবর্তীতে সেখান থেকে পদত্যাগ করিয়ে ‘প্রশিক্ষক’ পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করান। নিয়োগ পরীক্ষার সময় জয়শ্রীর পূর্বতন পদ-পদবি গোপন রাখা হয়।

এছাড়া বাবলার প্রথম স্ত্রী মীরা প্রভা নন্দীর আপন বোন মঞ্জু প্রভা নন্দীকে বাবলা চাকরি দেন ‘অফিস সহায়ক’ পদে। জাল সনদের মাধ্যমে চাকরি পাওয়া মঞ্জু প্রভা নন্দী এখন ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা সমবায় কার্যালয়ে কর্মরত। আরেক বোন আছেন নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিসার পদে। নরসিংদীতে কর্মরত প্রথম স্ত্রীর ভাই নয়ন নন্দী।

তাছাড়া পরিদর্শক পদে বাবলার ভাগ্নি নীতি রানী পালকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। তিনি এখন কক্সবাজার কার্যালয়ে কর্মরত। ভাইয়ের স্ত্রী শাপলা প্রভা দে’ কে পরিদর্শক পদে চাকরি দেন। তিনিও কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে আছেন।



মামাতো বোন পল্লবী দাশ গুপ্তকে চাকরি পাইয়ে দেন ‘অডিটর’ পদে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ে কর্মরত আছেন পল্লবী দাশ। ‘প্রশিক্ষক’ পদে রয়েছেন বাবলা দাশের শ্যালিকার ছেলে প্রণয় নন্দী। তাকে রেখে দিয়েছেন প্রধান কার্যালয়েই। একই দপ্তরে ‘সহকারী প্রশিক্ষক’ পদে রয়েছেন কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জয়শ্রী দাশের ছোট বোন শাপলা দাশ। বাবলার শ্যালিকার মেয়ে পল্লবী কেয়া চক্রবর্তী অফিস সহকারী হিসেবে রয়েছেন অধিদপ্তরের হেড অফিসে।

স্ত্রীর মেজ ভাইয়ের বিধবা স্ত্রী বিন্দু রানী পাল ‘উপজেলা সমবায় অফিসার’ হিসেবে রয়েছেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে। বাবলার ছেলের গৃহশিক্ষক শ্যামল চন্দ্র রায়কে চাকরি পাইয়ে দেন সমবায়ের পরিদর্শক পদে। চাকরি দিয়েছেন শ্যামলের স্ত্রী প্রমিলা রানী রায়কেও। তিনি ঢাকা সমবায় অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত। শ্যামল চন্দ্রের ভাই তাপস কুমার রায়কেও চাকরি দেন। তিনি ‘ফিল্ম অপারেটর’ হিসেবে কর্মরত।

বিশেষভাবে চাকরি পরীক্ষার ব্যবস্থা:

বাবলার সঙ্গে সম্পর্ক এমন কোনো প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় ফেল করেন না। এজন্য বাবলার আছে কৌশল। সমবায় অধিদপ্তরে অনেক পরিবার আছে যারা বাবলা মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন; পরে এই পরিবারগুলোর পাঁচ-ছয়জন সদস্য চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। যাদের নামের শেষে ‘দাশ, ‘গুপ্ত’ ‘দেব’ কিংবা ‘নন্দী’ রয়েছে; তারা কোনো না কোনোভাবে বাবলা দাশেরই আত্মীয়-স্বজন।

বাবলা যাদের চাকরি দেন তাদের লিখিত পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেয়ার নিশ্চয়তা দেন। অভিযোগ আছে, আত্মীয়-স্বজন লিখিত পরীক্ষায় পাস না করলেও তাদের উত্তরপত্র কৌশলে গায়েব করে দেন বাবলা। পরে নিজের বাসায় প্রার্থীকে বসিয়ে খাতা পূরণ করে সেটি যথাস্থানে পৌঁছে দেন। ফলে বাবলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনো প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় ফেল করেন না।

এক নিয়োগ পরীক্ষায় ৩৩ জনকে চাকরি:

২০১২ সালে লিখিত পরীক্ষায় ‘পাস’ দেখিয়ে চাকরি দেন অন্তত ৩৩ জনকে। এদের মধ্যে প্রশিক্ষক লাবনী চৌধুরী, ইন্সপেক্টর শ্রাবন্তী দাশ গুপ্ত, মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন, ইকবাল হোসাইন, সরেজমিন তদন্তকারী মোহাম্মদ মহসিন ইসলাম, ইন্সপেক্টর শাপলা প্রভা দে, অজুতা খাতুন, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সরেজমিন তদন্তকারী সাফিনা রুবি, ইন্সপেক্টর সুমা রায়, কল্পিতা ভৌমিক, প্রমিলা রানী রায়, রিজোয়ানা ইসলাম, মোহাম্মদ রবিউল করিম, সরেজমিন তদন্তকারী মোহাম্মদ আতাউর রহমান, ইন্সপেক্টর পপি রানী, তাপস কুমার সরকার, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সরেজমিন তদন্তকারী মোহাম্মদ আজাদুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর নাসিমুল হক, মো. আবুল হোসাইন, মো. ইসমাইল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, শিপ্রা দেবনাথ, আসলাম কবির, সরেজমিন তদন্তকারী পলাশ সাহা, ইন্সপেক্টর সরোয়ার জাহান, উম্মেল কুলসুম সনিয়া, অভিজিত দাশ চৌধুরী, রাজীব কান্তি দেব ও আয়েশা বেগম চৌধুরী রয়েছেন।

অঢেল সম্পদ বাবলার:

দেশ-বিদেশে বাবলার আছে বিপুল সম্পদ। কক্সবাজার উখিয়ায় কিনেছেন প্রচুর জায়গা-সম্পত্তি। সেখানে মার্কেট সমেত একটি বাড়ি রয়েছে তার। চট্টগ্রাম শহরের আসকার দীঘিরপাড় এলাকায় (আনসার-ভিডিপি অফিসের পার্শ্ববর্তী গলিতে অবস্থিত) আছে ফ্ল্যাট। চট্টগ্রাম নগরীর রহমতগঞ্জ এলাকায় গুডস হিলের দক্ষিণে দ্বিতীয় স্ত্রী জয়শ্রী দাশকে কিনে দিয়েছেন ফ্ল্যাট। আগের ঘরের সন্তানসহ জয়শ্রী বসবাস করেন এই ফ্ল্যাটে। বাবলা শুক্র-শনিবার বিমানযোগে চট্টগ্রাম গেলে ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন।

২০১৪ সালে চট্টগ্রাম কর্ণফুলী থানার চর পাথরঘাটা এলাকায় কেনেন প্লট। এছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে মা, ভাই ও দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে কিনেছেন একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট ও বাড়ি। কক্সবাজার উখিয়ার উয়ালাপালং মৌজায় ২০১৪ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি কেনেন একটি প্লট (উখিয়া সাবরেজিস্ট্রি অফিস, দলিল নং-২৯৪/১৪)। তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে তখন তার চাকরির বয়স ৭-৮ বছর। ওই সময় ১৮ লাখ টাকায় নিজ নামে কেনেন প্লটটি। যদিও এর স্থানীয় প্রকৃত মূল্য চার গুণ বেশি।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে মা, ছেলে, জয়শ্রীর নামে রয়েছে এক ডজনের বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। এসবে ঘুষের টাকা গচ্ছিত রাখেন।

সিন্ডিকেটে থাবা:

গত ১৬ জানুয়ারি সমবায় অধিদপ্তরে বিভিন্ন ক্যাটাগরির আড়াইশ জনের পদোন্নতির পরীক্ষা হয়। পদোন্নতির আশ্বাস দিয়ে বাবলা চারকোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। লেনদেনের বিষয়টি টের পেয়ে পদোন্নতি বোর্ড মাত্র একজনকে উত্তীর্ণ করে।

এছাড়াও বদলি করে দেয়া হয় বাবলার সিন্ডিকেটভুক্ত সমবায় কর্মকর্তাদেরও। একারণে আপাতত ভেস্তে গেছে বাবলার পদোন্নতি বাণিজ্য পরিকল্পনা। গুঞ্জন রয়েছে, ওই পদোন্নতি কমিটি ও পদস্থ কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করতে বাবলার বাজেট ছিল ৩৬ লাখ টাকা। বাকি টাকা পকেট করতেন নিজেই।

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ:

বাবলা দাশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ বর্তমানে তদন্ত করছে দুদক। ১৬ জানুয়ারি বাবলা দাশকে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ভুইয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তার বিষয়ে আমরা আরও খোঁজ খবর নিচ্ছি।’

সমবায়ের ডিজি যা বললেন:

দুর্নীতি অনিময়ের এতো অভিযোগের পর বাবলা দাশ গুপ্তকে কী ভাবছে সমবায় অধিদপ্তর। জানতে চাইলে সংস্থাটির নিবন্ধক ও মহাপরিচালক ড. তরুণ কান্তি শিকদার ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এখনো কেউ তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তিনি অনেককে চাকরি দিয়েছে এটা সম্পূর্ণ সত্য না। তিনি (বাবলা) কাউকে চাকরি দিতে পারেন না। হয়ত অনেক দিন চাকরি করেন, তাই কারও জন্য তদবির করেছেন। কতজনই তো কতকিছু নিয়ে সারাদিন তদবির করেন।’

বাবলার আত্মীয়-স্বজন অনেকেই সমবায় অধিদপ্তরে কর্মরত, এ বিষয়ে তরুণ কান্তি শিকদার বলেন, ‘পাঁচজন চাকরি করে। তবে তারা তাদের মেধা আছে বলেই চাকরিতে ঢুকেছে। আর সেসময় যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা কী করেছেন আমি জানি না।’

ঢাকাটাইমস

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More