সোনা চোরাচালান মামলায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেফতার করে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের দায়ের করা পল্টন থানার মামলার আসামি তিনি।
ডিবির অতিরিক্ত উপ পুর্লিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান বলেন, রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় নিয়মিত মামলা ছিল। ওই মামলায় উত্তররার ৩ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ২৪ নম্বর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর পুরান পল্টনের ২৯/১ নম্বর বাড়ির ৬/এ নম্বর ফ্ল্যাটে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর অভিযান চালায়। ওই ফ্ল্যাট থেকে এসকে মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করা হয়। বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি ও বাংলাদেশী মুদ্রাসহ দেড় মণের বেশি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ওই স্বর্ণের মালিক এসকে মোহাম্মদ আলী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন। মোহাম্মদ আলী হাতেনাতে গ্রেফতারের পর স্বীকারও করেন। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের উপ পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান বাদি হয়ে মোহাম্মদ আলী ও রিয়াজ উদ্দিনকে আসামি করে পল্টন থানায় মামলা করেন। রিয়াজ উদ্দিন পলাতক ছিলেন।
কে এই রিয়াজ? জানা যায়, রিয়াজ উদ্দিন একসময় একটি ব্যাংকের এয়ারপোর্ট শাখায় কেরাণী পদে কর্মরত ছিলেন। সেসময় সোনা চোরাচালানিদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপরই চাকরী ছেড়ে দিয়ে চোরাচালানি শুরু করেন। কম সময়ের মধ্যে অঢেল টাকার মালিক বনে যান। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের বাগবাটি ইউনিয়নের হরিনাহাটা গ্রামে। তিনি প্রায় ১ দশক সিরাজগঞ্জে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করানোর জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গরিব দুঃখি মানুষদেরকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে দানশীল ব্যক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন। বনে যান আওয়ামী লীগ নেতা। বর্তমানে তিনি সিরাজগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আওয়ামী লীগের টিকিটে তিনি সদর উপজেলার চেয়ারম্যানও হয়েছেন। সিরাজগঞ্জের পিপুল বাড়িয়াতে এবং পৌর সভার দিয়ারধানগড়া গ্রামে তার বিলাশ বহুল বাড়ি ছাড়াও এলাকায় প্রচুর সম্পদ রয়েছে তার।