ঢাকা: ধর্মঘট, হরতাল ও অবরোধের মত কর্মসূচী দিলেও জাতীয় মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচলের ব্যাপারে কোনোভাবেই নমনীয় হচ্ছে না সরকার। উপরন্তু মহাসড়কে অটোরিক্শা বন্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কোনো চাপের মুখে অটোরিকশাসহ সবধরনের অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধের নিষেধাজ্ঞারে পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন সিদ্দিকী।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। তিনি বলেন, ‘সারাদেশে ২ লাখ ৫০ হাজার সড়ক মহাসড়ক রয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ৩ হাজার ৫৭০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তারপরও কিছু কিছু মহাসড়কে সিএনজি চালকরা কেন বিক্ষোভ করছেন তা বোধগম্য নয়।’
জাতীয় মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশাসহ অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচলের নিষেধাজ্ঞায় জনসমর্থন রয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে বিআরটিএ, জেলা প্রশাসন, হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। তারা অভিযান অব্যাহত রাখবে। কোনো অবস্থাতেই এই নিষেধাজ্ঞা থেকে সরে আসা হবে না।’
১ আগস্ট (শনিবার) থেকে জাতীয় মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ সবধরনের অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। এর পর থেকে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল বন্ধে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের পাশপাশি মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল বন্ধে বিআরটিএর ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।
জানা গেছে, মহাসড়কে ধীরগতির যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আগে থেকেই ছিল। ২০০৬ সাল থেকে ব্যাটারিচালিত নছিমন, করিমন, ভটভটি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। নতুন করে নিষিদ্ধ হচ্ছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা।
গত ২৭ জুলাই সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের প্রজ্ঞাপনে, সড়ক নিরাপত্তা বিধানে সব জাতীয় মহাসড়কে থ্রি হুইলার অটোরিকশা/অটোটেম্পো এবং সব ধরনের অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ এবং ১ আগস্ট শনিবার থেকে তা কার্যকর কার্যকর করা হয়।
এর আগে গত ২২ জুলাই সচিবালয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ে এক সভায় মহাসড়কে অটোরিকশা নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ওই বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মহাসড়কে নতুন উপসর্গ সিএনজি অটোরিকশা। যা সেকেন্ডের মধ্যে দুর্ঘটনায় পড়ে। এগুলো মহাসড়কে খুব বেশি হারে চলে এসেছে। এ সকল অটো রিকশা দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। তাই দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কগুলোতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।