ডিএনএ টেস্টের জন্য তনুর লাশ উঠানোর অনুমতি

0

tonuকুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর হত্যার বিচার দাবিতে কুমিল্লায় বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। অপরদিকে, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন সোমবার সন্ধ্যায় এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, তদন্তে নতুন কোন খবর নেই। আগের অবস্থাতেই রয়েছে। এদিকে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মনজুর আলম সোমবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অধিকতর তদন্ত ও ডিএনএ টেস্ট করার জন্য সোহাগী জাহান তনুর মরদেহ কবর থেকে উঠানোর আবেদন করলে আদালত একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সামনে রেখে লাশ উঠানোর অনুমতি দেন। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, সম্ভবত ৩০ মার্চ লাশ উঠানো হতে পারে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার নোয়াপাড়ায় এলাকাবাসী ও স্থানীয় শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা শাসনগাছা-আলেখারচর সড়কের পাশে মানববন্ধন করে। মানববন্ধন শেষে সড়কে প্রতিবাদ মিছিল করার সময় ওই সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এদিকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ডিগ্রি শাখার শহিদ মিনার প্রাঙ্গণকে ‘তনু মঞ্চ’ ঘোষণা দিয়ে সেখানে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
সেখানে সবাই মিছিল তুলছে ‘আমরা সবাই তনুর ভাই, তনু হত্যার বিচার চাই’।
এদিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ছাড়াও রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আখতার। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন জামাল, সাংবাদিক আবদুস সোবহান, আবদুল মান্নান, আবু বকর সুজন, আবুল বাশার রানা ও আনিসুর রহমান। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা তনুর ধর্ষক ও ঘাতকদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের সাবেক সভাপতি মো. আল-আমিন জানান, ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সন্ধ্যায় নগরীর কান্দিরপাড়ে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিহতের পরিবারের সূত্র জানায়, গত ২০মার্চ সন্ধ্যায় টিউশনি করে বাসায় ফেরার পথে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় সোহাগী জাহান তনুকে। ২১মার্চ নিহতের বাবা ইয়ার হোসেন কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাতদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের ৮ দিনেও কাউকে গ্রেফতার বা হত্যার রহস্য উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এ দিকে মামলার অগ্রগতির কথা জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ওসি ডিবি  এ কে এম মনজুর আলম  বলেন, তদন্ত আগের অবস্থাতেই রয়েছে। কোন অগ্রগতি নেই। তনুর মরদেহ উঠানোর জন্য সোমবার আদালতের অনুমতি নিয়েছি। রাতে সিদ্ধান্ত হবে কবে লাশ উঠানো হবে। তবে খুব সম্ভব ৩০ মার্চ লাশ উঠানো হতে পারে বলে তিনি জানান।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More