এবার বড় পরিসরে হচ্ছে বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকার ব্যস্ততা এখন অমর একুশে বইমেলার শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে; নিরাপত্তাকে ‘প্রাধান্য’ দিয়ে এবং বড় পরিসরে এই প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে মেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি। গত বছর বইমেলার বাইরে লেখক অভিজিৎ রায়কে খুন এবং তারপর বিভিন্ন স্থানে লেখক ও প্রকাশকদের উপর হামলার প্রেক্ষাপটে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরও নিরাপত্তার উপরই গুরুত্বারোপ করেছেন। বাংলা একাডেমির তত্ত্বাবধানকারী মন্ত্রণালয়ের এই মন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে মেলাপ্রাঙ্গণ পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের বলেন, “সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় প্রাধান্য নিয়ে বইমেলা সাজাচ্ছি আমরা। পুরো মেলা প্রাঙ্গণ ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার আওতায় থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাও থাকবে আগের চেয়ে অনেক বেশি।” এবার পাইরেসির বিরুদ্ধে আগের তুলনায় কঠোর হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “মেলা চলাকালে পাইরেসিবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে। আর কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পাইরেটেড বই বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদেরকে আগামীবার বইমেলায় কোনো স্টল দেওয়া হবে না।” সার্বিক নিরাপত্তার বর্ণনা দিয়ে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বলেন, “আগের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে যা করা যায় সর্বোচ্চটুকু আমরা করছি। ২৫০টি সিসি ক্যামেরায় পুরো মেলা ও আশপাশের এলাকা মনিটর করা হবে। র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যারপ্ত সংখ্যক মেলাপ্রাঙ্গণে মোতায়েন থাকবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে কেন্দ্র করে মূলত সেখান থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।” নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি মেলায় ঢোকা ও বের হওয়ার পথও বাড়ানোর কথা জানান জালাল। তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকছে চারটি প্রবেশদ্বার। ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, চারুকলা অনুষদের উল্টোদিকের ছবির হাট গেইট, টিএসসির উল্টোপাশের গেইট ও রমনা কালী মন্দিরের গেইট। একইভাবে মেলা থেকে বেরুনোর জন্যও থাকবে চারটি ফটক। সেইসঙ্গে মেলার অভ্যন্তরেও থাকছে সুপ্রশস্ত স্থান।
Prev Post
Next Post