বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি রয়েছে।
হত্যায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট অন্তত অর্ধডজন ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন। তাদের কয়েকজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। সেখানে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
হত্যায় সম্পৃক্ততার বিষয়ে নিশ্চিত হলে কয়েকজন যে কোনো সময়ে গ্রেফতার হবে। তবে তার আগে ফারদিন কীভাবে রূপগঞ্জের চনপাড়ায় গেলেন সেই প্রশ্নের উত্তর মেলাতে চান তারা। এদিকে এখন পর্যন্ত বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার সংশ্লিষ্টতার তথ্য পায়নি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। বুধবার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
হত্যার রহস্য উদঘাটনে দফায় দফায় ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় দিনরাত কাজ করছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকটি টিমকে সেখানে দেখা গেছে।
এলাকার মাদক কারবারি এবং বিভিন্ন অপরাধে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ‘কনক্রিট’ কোনো তথ্য পাইনি।
আমাদের টিম কাজ করছে। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে চনপাড়ার রায়হান গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। রায়হানসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বুধবার আদালত প্রাঙ্গণে বুশরার বাবা মঞ্জরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়ে বুশরা কোনোভাবেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সঙ্গে জড়িত নয়। এখন পর্যন্ত কেউ তার সম্পৃক্ততার কোনো ক্লু দেখাতে পারেনি। আগামীতেও পারবে না।
আর নিহত ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা বলেন, বুশরার পাশে সর্বশেষ যখন ফারদিনকে দেখা গেল, তার পরের দৃশ্যপট সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু এখন পর্যন্ত কোনো সংস্থা আমাকে দেখাতে পারেনি। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করছেন না।
গত ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হন ফারদিন নূর পরশ। ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা বাদী হয়ে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে আসামি করে মামলা করেছেন।
jugantor