কোনো রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বিতর্কিত পাইলট ইশতিয়াক হোসাইনকে বাংলাদেশ বিমানের নতুন শিডিউল অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানের অপারেশন ম্যানুয়েলের ধারা অনুযায়ী কোনো অ্যাসোসিয়েশনের কোনো নির্বাহী বিমানের নির্বাহী হিসাবে কাজ করতে পারবেন না। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফেডারেশন অব এয়ারলাইন পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএফএএলপিএ) এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে থাকা অবস্থাতেই ইশতিয়াক হোসাইনকে বিমানের নতুন শিডিউল অফিসার হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটি স্পষ্টতই নিয়মের পরিপন্থি। কেননা একই ব্যক্তি আন্তর্জাতিক সংস্থার ব্যবস্থাপনায় কাজ করছেন, আবার তাকেই রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমানের এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিতর্কিত ইশতিয়াকের এমন নিয়োগ নিয়ে বিমানে চলছে চাপা অসন্তোষ। তার প্রভাব ও ক্ষমতার দাপটে সবাই মুখ বন্ধ রাখলেও আড়ালে এ নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা। দাবি করা হচ্ছে, লোকসান ও অব্যবস্থাপনায় ধুঁকতে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবার নতুন করে হুমকির মুখে পড়ল।
এদিকে বিমানের এক নারী পাইলট জানান, শাহদাত, ইশতিয়াক এরা প্রত্যেকেই বিকৃত রুচিসম্পন্ন। এদের কারণে নারী কর্মীরা বারবার নিগৃহীত হচ্ছেন। নানাভাবে প্রতিবাদ ও অভিযোগ জানালেও শেষ পর্যন্ত কিভাবে যেন এরাই বিমানের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে বসেন। এভাবে চলতে থাকলে বিমান ধ্বংস হতে খুব বেশিদিন সময় লাগবে না। ইশতিয়াক হোসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কথা বলার জন্য তার মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
বর্তমানে শুধু অভিজ্ঞ পাইলটের অভাবে বিমান তার পরিচালন সক্ষমতার পূর্ণ মাত্রায় উড়তে পারে না। বাপা সবসময় অভিজ্ঞ পাইলট নিয়োগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এমনকি আসন্ন হজ ফ্লাইটসহ বিমানের ফ্লাইটসূচি ঠিকঠাক রাখতে বারবার দাবি জানিয়েছে। বিমান সংশ্লিষ্টদের দাবি, ইশতিয়াকের এ নিয়োগ পুনর্বিবেচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপেক্ষাকৃত যোগ্য ও ক্লিন ইমেজধারী কাউকে বসাতে হবে।
jugantor