রাতে কর্মচারীদের সঙ্গে ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তারা আরবি, ইংরেজি ও বাংলায় কথা বলে। আরবিতে বলার পর বাংলায় তর্জমা করিয়েও শোনায়। কর্মচারীদের কাছে জানতে চায়, এখানে বিধর্মীদের খাওয়ানোর চাকরি তারা কেন করে। বলে, হারাম-হালাল বুঝে চাকরি করবেন। একটি টেবিলে মদের বোতল দেখে সন্ত্রাসারী জানতে চায়, এই রেস্টুরেন্টে মদ বিক্রি করা হয় কিনা। উত্তরে কর্মচারীরা জানান, না, এখানে মদ বিক্রি হয় না। তবে বিদেশীরা মদ সঙ্গে করে এনে এখানে খায়। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, লাইসেন্স না থাকলেও রেস্টুরেন্টটিতে নিয়মিতভাবে মদ বিক্রি করা হতো। এরপর জঙ্গিরা মদের বোতলগুলো ভেঙে ফেলে।[ads1]
রাতে এক সময় রেস্টুরেন্টে থাকা বেশ কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার এনে এক জায়গায় জড়ো করে সন্ত্রাসীরা। তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিল, প্রয়োজনে গ্যাস সিলিন্ডারগুলোতে গ্রেনেড মেরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো ভবন উড়িয়ে দেয়া হবে। এ সময় তাদের কেউ কেউ বলছিল, বিস্ফোরণ ঘটালে তো তাদের সঙ্গে কর্মচারী ও জিম্মি অতিথিরাও মারা পড়বে। সন্ত্রাসীরা বলাবলি করে, এই রেস্টুরেন্টে তো আরও অনেক বিধর্মী থাকার কথা। আজ অল্প কেন। এরপর বলে, যেগুলো পেয়েছি তাদের মেরে সফল হয়েছি।
সেই রাতের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে সবুজ আরও জানান, অতিথি জিম্মিদের খাবার ও পানি দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। তাদের একজন মুসলমান জিম্মিদের সেহেরির জন্য ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে কর্মচারীদের রান্না করে আনতে বলে এবং তা খেয়ে রোজা রাখতে বলে। কর্মচারী ও অতিথিদের বলে, এখান থেকে উদ্ধার হওয়ার পর বাইরে গিয়ে এই অ্যাডভাঞ্চার সম্পর্কে মানুষকে জানাতে। কিভাবে সন্ত্রাসীরা মানুষকে গুলি ও কুপিয়ে মেরেছে তা বাইরে জানাতে বলা হয়। ভোরে নিজেদের কাছে থাকা কিছু টাকা কর্মচারীদের দিয়ে সন্ত্রাসীরা বলে, আমরা তো মরেই যাব। টাকাগুলো তোমর রাখ।[ads2]