রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশগ্রহণ করে রাষ্ট্রপতির ভাষণকে প্রত্যাখান করেছেন ঝিনাইদহ-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী। সোমবার রাতে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর প্রথম বক্তৃতা শুরু করে ভাষণে সরকারের ব্যর্থতা প্রতিফলিত হয়নি উল্লেখ করে এটি প্রত্যাখ্যান করছেন বলে স্পিকারকে জানান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে তাহজীব বলেন, বছরের প্রথম দিনে বই উৎসব করে ৩৩ কোটি বই বিতরণ সত্যিকার অর্থেই চমৎকৃত হবার মতো একটি ব্যাপার। কিন্তু বই বিতরণে সরকার যতটা সক্ষমতা দেখিয়েছে, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতার সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, শিক্ষার সামগ্রিক মান না বাড়লেও বাজারে নোটবুকের সংখ্যা বেড়েছে। অবুঝ ও নিষ্পাপ ছেলেমেয়েরা যেনতেন উপায়ে পরীক্ষায় ভালো গ্রেড পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। গোল্ডেন এ প্লাস দেয়াও হচ্ছে উদারভাবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আদৌ কতটুকু সৃজনশীল হচ্ছে, কতটুকু উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য যোগ্য হচ্ছে, মানবিক মূল্যবোধই বা কতটুকু বিকশিত হচ্ছে সেটি দেখা হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে তাহজিব বলেন, এমবিবিএস ডাক্তাররা সর্দি-কাশি এবং জ্বর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আর দুরারোগ্য ব্যাধি খুব বেশি হলে নির্ণয় করতে পারে; কিন্তু নিরাময় করতে পারে না। নিরাময়ের জন্য প্রয়োজন বিশেষজ্ঞ, মফস্বল শহরগুলিতে যার খুবই অভাব। শহরের বড় বড় হাসপাতালগুলিতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আছে, কিন্তু জেলা শহরের হাসপাতালগুলোতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ শূন্যই থাকছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, যে সাহস এবং প্রত্যয় নিয়ে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছে, তা সত্যিকার অর্থে জাতি হিসেবে আমাদের গর্বিত করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, পদ্মা সেতু করতে পারলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম বা ঢাকা-ময়মনসিংহ ফোর লেনের কাজ সেভাবে করা হয়নি। দিনের পর দিন কাজ বিলম্বিত হলো, ব্যয় বাড়ল, জনগণের দুর্ভোগও বাড়ল।
Next Post