রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বেদখলী জমি উদ্ধারে উচ্ছেদের নোটিশ পেয়েই ইজারার আবেদন করেছে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট (জিটিটি) নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে ৪৮ শতক জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় রংপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ তা উচ্ছেদের জন্য কয়েকবার নোটিশ দিয়েছিল। রংপুর মডার্ন মোড় থেকে দক্ষিণে অভিরামপুরে ওই ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর থেকে দক্ষিণে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের ১৫তম কিলোমিটারে মিঠাপুকুরের অভিরামপুর নামকস্থানে সড়কটির পাশেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের নামে নয়নজলী শ্রেণীর জমি অধিগ্রহণ করেছে। ওই স্থানে জিটিটিও প্রায় সাড়ে ৮ একর জমি ক্রয়ের পর মূল সীমানা প্রাচীর নির্মানের পর ছোট প্রাচীর দিয়ে রংপুর সওজের ৪৮ শতক জমি অবৈধভাবে দখল করেছে। দখলকৃত জমিটি দৈর্ঘ্যে ৯’৫০ ফুট, প্রস্তে ২০ ফুট বলে প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে রংপুর সওজ কর্তৃপক্ষ সীমানা প্রাচীরটি উচ্ছেদে জিটিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাড়ি নং- ১৩২, রোড নং- ০২, ব্লক-এ, সেকশন-১২, পল্লবী, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬ এই ঠিকানায় নোটিশ দেয়। নোটিশ পেলেও জিটিটি তাদের নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে। উচ্ছেদ নোটিশ প্রদানের পর আরও অনেকটা জমি জিটিটির সীমানার বাইরে কাটা তারের বেড়া দিয়ে তাদের দখলে নেয়। অপরদিকে উচ্ছেদের নোটিশ পেয়েই গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি এস. এম মিজানুর রহমান অবৈধভাবে দখলকৃত জমির উপর দিয়ে জিটিটিতে যাতায়াতের সংযোগ রাস্তা এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বনায়নের নিমিত্ত্বে ইজারা গ্রহণের তাদের পৃথক স্মারক নম্বরে রংপুর সওজের কাছে দুটি আবেদন করে। বনায়নের আবেদন পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, মহাসড়কের নামে অধিগ্রহণকৃত জমি পতিত রয়েছে। জমিটি অবৈধ দখলদার হতে রক্ষার্থে ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বনায়নের অনুমতির আবেদন জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে জিটিটির ক্ষমতাপ্রাপ্ত এস. এম মিজানুর রহমান বলেন আমরা জমিটি দখল করার নোটিশ পাইনি। তবে যাতে জমিটি অবৈধভাবে কেউ দখল না করে এবং বনায়নের জন্য আমরা তা ইজারার জন্য আবেদন করেছি। তার কিছুটা অনুমোদনও পেয়েছি। রংপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন সওজের জমি অবৈধভাবে দখলদারকে তাদের স্থাপনা উচ্ছেদে একাধিক নোটিশ দিয়েছি। পাশাপাশি তারা সড়কের রাইট অব ওয়েও দখল করেছে। জমিটি না ছেড়ে দিয়ে উল্টো তারা জমি ইজারা নিতে আবেদন করেছে।