মরার উপর আবারো খাড়ার ঘা। বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে নির্বাহী আদেশে বাড়ানো হয়েছে চলতি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। এই দাম বাড়ানোর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। নতুন দাম ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়বে সব রকমের দ্রব্যমূল্যে।
সরকার ও আওয়ামীদের লুটপাটের খেসারত দিতে হচ্ছে মানুষকে। লুটপাটে রাষ্ট্রীয় তহবিলের ঘাটতি মিটাতেই গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে নেওয়া হচ্ছে টাকা। সরকার ও আওয়ামীরা লুটপাট করেন। খেসারত দেন দেশের সাধারণ মানুষ।
বুধবার (১৮ই জানুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উপ-সচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে শিল্পে গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে, জনস্বার্থে প্রাকৃতিক গ্যাসের ভোক্তা পর্যায়ের মূল্যহার পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহৎ শিল্পে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে প্রায় তিনগুণ বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
শিল্পে উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের (ক্যাপটিভ) জন্য প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
মাঝারি শিল্পে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১১ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১০ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে আগের দাম প্রতি ইউনিট ১৬ টাকা রাখা হয়েছে। চা বাগানের ক্ষেত্রেও না বাড়িয়ে আগের দাম ১১ টাকা ৯৩ পয়সা টাকা রাখা হয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৫ টাকা ২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা করা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে।
হোটেল ও রেস্তোরাঁ খাতে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ২৬ টাকা ৬৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে।
এ দফায় শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে সরকার। তবে পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও বাসায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি।
এর আগে গত ১২ই জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের খুচরা মূল্য বাড়িয়েছে সরকার। প্রতি ইউনিটে বিদ্যুতের দাম গড়ে ১৯ পয়সা বাড়ছে। বিদ্যুতের নতুন দাম চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে দাম কার্যকর করা হয়েছে।