সীমান্তে ভারতীয় হানাদার বিএসএফ ২০২২ সালে ১৬ জন নাগরিককে হত্যা করেছে। এদের মধ্যে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর দুই সপ্তাহে ৭জনকে হত্যা করেছে বিএসএফ।
আওয়ামীপন্থী মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এছাড়া সিলেট সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকরাও গুলি করে বাংলাদেশী হত্যার খবর প্রকাশিত হয়েছে পত্রিকায়।
সীমান্তে ভারতীয় হানাদার বিএসএফ গুলি চালিয়ে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা করলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোন রকমের প্রতিবাদ বা উদ্বেগ নেই। ভারতীয়রা বিনা উস্কানিতে বাংলাদেশীদের হরহামেশাই হত্যা করছে। যদিও দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক থেকে বারবারই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় হত্যাকাণ্ড বন্ধের বিষয়ে। সীমান্ত হত্যা জিরো টলারেন্সে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতির পরের দিনই একই ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। ভারতীয়দের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয় না।
অবৈধভাবে সীমান্ত রেখা অতিক্রম করলে শাস্তির বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে। অথচ, ভারত আন্তর্জাতিক আইনের কোন তোয়াক্কা না করে সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা করছে। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের তথ্য অনুযায়ী ২০০০ সাল থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সীমান্তে ১২৫৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা করেছে ভারতীয় বাহিনী। এছাড়া একই সময়ে ভারতীয় বাহিনী ১৪০৮ জন বাংলাদেশীকে অপহরণ করেছে। গুলিতে আহত হয়েছেন আরো ১১৫৭ জন বাংলাদেশী নাগরিক।
যুক্তরাজ্যে গত এক বছরে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ৪৫ হাজারের বেশি বিভিন্ন দেশের মানুষ প্রবেশ করেছে। এই বিশাল সংখ্যক মানুষকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছেন। অথচ, ভারতের তাবেদার ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের আমলেও সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যাকাণ্ড থামছে না। সীমান্তে বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ড চালানোর পরও বন্ধুত্বের বয়ান প্রচার করেন ইন্ডিয়ার অনুগত শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিরা। সাধারণ নাগরিকের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে সীমান্তে হত্যা যদি বন্ধুত্বের নমুনা হয়, তাহলে শত্রুতা হিসাবে কি চিহ্নিত হবে?
শেখ হাসিনার সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন প্রকাশ্যে মিডিয়ার সামনেই বলেছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর মত। আবারো কখনো তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, ভারত সরকারের নিকট তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বহাল রাখার জন্য। যুক্তি হিসাবে ভারতকে জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকায় সীমান্তে ভারতকে অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে না।
বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার কোন রকমের প্রতিবাদ করতে মন্ত্রিদের মুখে কখনো শোনা যায় না। বরং ভারতের তাবেদরির গল্পই শেখ হাসিনার মন্ত্রিরা প্রকাশ্যে বলেন।