
বিমানে করে লাশ এলো জুয়েলের। একই বিমানে যাত্রী ছিলেন জুয়েলের খুনি বলে অভিযুক্ত ছয়জনসহ ২৯ সর্বস্বান্ত প্রবাসী শ্রমিক। বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ যখন অভিযুক্ত শ্রমিকদের আটক করার কাজে ব্যস্ত, তখন অদূরে মাটিতে আছড়ে পড়ে আহাজারি করছিলেন জুয়েলের বাবা শাহজাহান মোল্লা। ‘জুয়েলরে টাকার জন্য গরুর মতো পিটাইতো আর বলতো টাকা পাঠাইতে। কিন্তু পোলার জন্য টাকা পাঠাইতে পারি নাই। ওরে মারতে মারতে কয়েকবার বেহুঁশ করে ফেলছিল। মোবাইলে ফোন কইরা আমারে বলতো বাবা আমারে বাঁচাও। সেই দোজখ থেকে পোলা মুক্তি পাইলেও জীবন নিয়া ফিরতে পারল না।’ দালালের নির্যাতনের বিবরণ এভাবেই উঠে আসে সন্তানহারা এক বাবার আর্তিতে। প্রাণ নিয়ে যাঁরা ফিরতে পেরেছেন, তাঁদের স্বজনরাও কান্নাকাটি করছিল।