৭ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রকৌশলীদের সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

0

sinaপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণে প্রকৌশলীদের আরো মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রকল্প দ্রুত সম্পন্নের আহবান জানিয়ে তিনি বলেছেন, প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগে উন্নীত করতে চাই। এজন্য যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে সেগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৫৬তম কনভেনশনে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সবুরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইইবি সভাপতি মো.কবির আহমেদ ভূঞা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু খরচ বাড়ানোর জন্য নয় এবং প্রকল্প যাতে অর্থ সাশ্রয়ী হয়,সাধারণের উপকারে আসে, সে বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তারপর প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের যেন কষ্ট না হয়,মানুষ যেন একটু ভালভাবে বাঁচতে পারে সেভাবে প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে।’
প্রকল্প গ্রহণের আগেই সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে প্রকল্পের ভালো মন্দ বিবেচনা করে দেখতে হবে। জমি অব্যহৃত রাখা যাবে না, অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি ফসল উৎপাদনও নিশ্চিত করতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আইইবি স্বর্ণপদক ২০১৫ প্রদান করেন। এবারে প্রকৌশলী শিল্পে উৎকর্ষ সাধনের স্বীকৃতি স্বরূপ আইইবি স্বর্ণপদক ২০১৫ পেয়েছেন যৌথভাবে প্রকৌশলী অধ্যাপক ড.আ ম ম শফিউল্লাহ এবং আইইবি’র সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা।
প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতায় প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁর এলাকার কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সব উপজেলাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই দাবি করেন। আমারও কিছু দাবি আছে। দেশের জন্য কাজ করুন।
বেশি খরচে অপ্রয়োজনীয় কাজ করা হচ্ছে বলে আক্ষেপ করে কম খরচে প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। খরচ বাড়ানোর পরিকল্পনা না করে কমানোর পরিকল্পনা করতে বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের এক নম্বর সদস্য। তাছাড়া আমি একজন এমপিও। তাই নিজের এলাকায় আমার দায়িত্ব আমি পালন করি। সেখানে আমাকে খুশি করতে আলাদা করে কোনো প্রকল্প নেওয়ার দরকার নেই।
তিনি বলেন, এক সময় সবদিক দিয়ে বঞ্চিত ছিলাম। এখন সবাই দেওয়ার জন্য ব্যস্ত থাকেন। এখন তাই পাওয়ার যন্ত্রণায় আছি। প্রধানমন্ত্রীর এলাকা বলে সবকিছু দিতে হবে, এ ‘আদিখ্যেতা’ বন্ধ করতে হবে।
আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে- এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন এবং উৎপাদন কর্মকাণ্ডে প্রকৌশলীরাই মূখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘর-বাড়ি, মিল-কারখানা সবকিছুর নির্মাণ ও স্থাপনের সঙ্গে আপনারা সম্পৃক্ত। পাশাপাশি, জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ, পানি সরবরাহের মত সেবাধর্মী সকল কাজও আপনারাই সম্পাদন করে থাকেন।
তিনি প্রকৌশলীদের কর্মদক্ষতা এবং আন্তরিকতার উপর নির্ভর করে দেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তাঁর সরকারের সময়ে দেশের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More