সরকারের আচরণ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থি

0

napমাহফুজ আনামকে গ্রেফতার ও তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ বিভিন্ন মামলা দায়ের ‘স্বাধীন গণমাধ্যম নীতির পরিপন্থি’ বলে মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একে অপরের পরিপূরক। গণতন্ত্র না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না, তেমনই মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। বর্তমানে দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র সংকুচিত হয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। যা একটি রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হতে পারে না।’
ডেইলি স্টার বন্ধ এবং এর সম্পাদক মাহফুজ আনামকে গ্রেফতারের দাবিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং এর তীব্র নিন্দা জানান তারা।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বললেও প্রকৃত অর্থে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আওয়ামী লীগ যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই গণমাধ্যম সরকারের প্রতিহিংসার স্বীকার হয়েছে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, “স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী সরকার ৪টি সংবাদপত্র রেখে মজলুম জননেতা মওলানা প্রতিষ্ঠিত ‘হক কথা’ সহ সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দৈনিক বাংলা, টাইমস, বিচিত্রা, আনন্দ বিচিত্রা বন্ধ করে শত শত সাংবাদিককে বেকারে পরিণত করেছে। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে বন্ধ করেছে চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, দৈনিক আমার দেশ।’
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ‘সরকারবিরোধী সংবাদ পরিবেশনের কারণে এই সরকারের আমলে টিভি চ্যানেল বন্ধ হয়েছে, সম্পাদক-পরিচালক কারাবন্দি হয়েছেন। সাংবাদিক সাগর-রুনির নির্মম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনেও চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বর্তমান সরকার।’
নেতারা অবিলম্বে সরকারকে এই ধরনের আচরণ বন্ধ করে মাহমুদুর রহমান ও শওকত মাহমুদকে মুক্তি এবং বন্ধ গণমাধ্যমগুলোকে খুলে দেওয়ার দাবি জানান।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More