আওয়ামী লীগ হলো জঙ্গিদের দল এদের ধরলেই সবকিছু বের হবে

0

[ads1]বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ হলো জঙ্গিদের দল। জঙ্গিদের সাথে আওয়ামী লীগের Khaledaনেতাকর্মীদের যোগাযোগ আছে। এদের কাছে দেশি-বিদেশি বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ আছে। কাজেই তাদেরকে ধরলেই জঙ্গিরা ধরা পড়বে। তাই এদের ধরলে সত্যিকার বিচার হবে, দেশে নিরাপত্তা ও শান্তি আসবে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের মিলনায়তনে ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ। : বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আজকে সারাদেশে কি চলছে। দখল আর লুটপাট ও দমনের মহোৎসব চলছে। প্রেসক্লাব পর্যন্ত দখল হয়ে গেছে। প্রেসক্লাবে সাংবাদিকরা ইফতার মাহফিল করতে পারেনি। নির্বাচন দিতে ভয় পেয়ে গায়ের জোরে তারা সব দখল করছে।[ads1]

তিনি বলেন, আজকে ক্ষমতায় যারা বসে আছে তারা জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয় এবং এটি অনির্বাচিত জনধিকৃত একটি সরকার। তাদের যদি সামান্যতম লজ্জা থাকত তাহলে তারা ক্ষমতা ছেড়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিত। সেই নির্বাচনে তারা জয়ী হয়ে এলে তারা যে কাজ করত তার সমালোচনা হলেও বৈধতা পেতো। এ সরকার একের পর এক যে কাজ করছে তা বৈধ নয়। : বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বিচার বিভাগে নিরপেক্ষ বিচার ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না। তাই ভালো আইনজীবী থাকা সত্ত্বে ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না। যেসব কাজ করছে তার কোনো বৈধতা নেই। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নাইকো মামলা এক সঙ্গে হয়েছে। ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দিনের সময়ে হাসিনার ছিল ১৫টি মামলা। আমরা ছিল ৫টি মামলা। হাসিনার মামলা যদি উঠে যায় আমার মামলা কিভাবে চলে। হাসিনার নির্দেশে সবকিছু হয়েছে। হাসিনার ১৫টি মামলা কিভাবে উঠে যেতে পারে। তার মামলা উঠে গেলে অন্য কারো মামলা থাকতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দিন সরকার যেসব মামলা দিয়েছিল সেই মামলায় প্রত্যেক নেতাকর্মীকে হয়রানি করছে। সব মামলা রয়েছে। যেখানে আইনের শাসন নেই,  সেখানে বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই। বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। বিচার বিভাগের প্রতি এই সরকারের কোনো বিশ্বাস তো নেই। বিচার বিভাগের নির্দেশ অমান্য করে একটির পর একটি কাজ করে যাচ্ছে। আদালত বলেছেন বিনা বিচারে সাদা পোশাকে কাউকে ধরা যাবে না। কিন্তু এখন প্রতিদিনই গ্রেফতার করা হচ্ছে। মানুষকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাউকে কথা বলতে দেয়া হয় না। শওকত মাহমুদ বিনা অপরাধে ১০ মাস জেল খেটেছে। মাহমুদুর রহমান  কারাগারে আছে। গণগ্রেফতার করে বিএনপি ও সাধারণ মানুষ মিলে ১৫ হাজার  গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলের মুক্তি দাবি করছি।[ads1]

ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ রহমান,  বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সিনিয়র সাংবাদিক কবি আল মুজাহিদী, নূরুল হুদা, আবদুল আওয়াল ঠাকুর, মুন্সী আবদুল মান্নান, আবদুস শহীদ, বাকের হোসাইন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী ও শওকত মাহমুদের স্ত্রী কবি ফেরদৌসী মাহমুদ প্রমুখ। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। : বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, সহআইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, নিতাই রায় চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার প্রমুখ।[ads2]

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More