আস্তিক-নাস্তিক বিভাজন করে দেশকে ভাগ করার চেষ্টাই বড় বিপদের কারণ বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
‘একদিকে হেফাজতের বিরুদ্ধে কথা বলছি, অন্যদিকে হেফাজতের সাথে সমঝোতা করছি’ বলেন মন্ত্রী। আলোচনা করে এ লড়াই কীভাবে করা যায় তা ঠিক করা দরকার বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি এখন সামনে আনতে হবে।’
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ডব্লিউডিএ মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজনে ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমামের আন্দোলনের দুই যুগ : প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আজকে ঘাতক-দালালদের বিচার করা হচ্ছে। এ কথাও আসছে সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার করছি কি না। তাদের অর্থের উৎসগুলো বন্ধ করছি কি না।’
‘আমাদের মধ্যে সন্দেহ সব সময় কাজ করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলো। বিচারের রায় কার্যকর হবে কি না এ নিয়েও সন্দেহ ছিল। কিন্তু তাদের সেই সন্দেহ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আসুন, আমরা আস্থার সাথে এগিয়ে যাই।’
সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির এই আন্দোলনের ফলে তারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। প্রত্যাঘাত করার জন্য ছায়ানটে বোমা হামলা চালিয়েছে, উদীচীতে হামলা করেছে, সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা করেছে ও ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা। শুধু আইনগতভাবে নিষিদ্ধ নয়, তাদের অর্থের উৎস, কমিউনিকেশন, কমান্ড সেন্টারগুলো চুরমার করে দিতে হবে।’
সেলিম বলেন, ‘দরকার হলে আমরা মুক্তবাজার রিটার্ন করব, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা-চেতনার ধারা পরিবর্তন করতে পারব না।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘আমি গণআদালতের অভিযোগকারী ৩ জনের একজন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর গোলাম আযমকে বাংলাদেশে স্বীকৃতি না দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চেষ্টা চালিয়ে ছিল, সে তথ্য আমি সংগ্রহ করেছি। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমি অভিযোগ দায়ের করি।’
একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, মুক্তিযোদ্ধা আয়েশা খানম, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রমুখ।