ঢাকা: ইউটিউবের মাধ্যমে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশকে অপরাধ অভিহিত করে দুটি টেলিভিশন চ্যানেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে দেশরক্ষা পরিষদ আয়োজিত ‘চলমান রাজনীতি ও রোল মডেলের পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তারেক রহমানের সমালোচনা করে কামরুল বলেন, ‘তাদের এসব বক্তব্য আন্দোলনের নতুন কৌশল। এসব বক্তব্য নতুন প্রজন্মকে অন্ধকারের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত করবে।’ এগুলোকে বাক ও তথ্য সন্ত্রাস আখ্যায়িত করে তা পরিহার করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘কোনো দল বা গোষ্ঠীর সঙ্গে সংলাপ নয়। আমরা জনগণের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংলাপ করে আসছি। জনগণের সঙ্গে এ সংলাপ চালিয়ে গেলে তারা ভোট দিয়ে আমাদের ক্ষমতায় আনবে।’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যারা এতবড় ধোকা খেয়েও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেন তারা কিসের ভিত্তিতে বলেন? দেশের সংবিধান আছে। অতএব তত্ত্বাবধায়ক আসবে না। ২০১৯ সালের আগে কোনো নির্বাচন নয়।’
সংগঠনের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ, স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের পুত্রা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বুধবার সন্ধ্যায় এক আলোচনা সভায় তারেক রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রিমান্ডে নিলেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য বের হবে।জিয়াউর রহমান হত্যার বিষয়ে জানতেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ এসব বক্তব্যের ভিডিও ইউটিউবের মাধ্যমে পরিবেশন করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশন ও এনটিভি।