বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সংখ্যা নিয়ে আমরা বিতর্ক করতে চাই না। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা হলো একটি গবেষণার বিষয়। এ সংখ্যা কমও হতে পারে আবার বেশিও হতে পারে। এ নিয়ে আলোচনা থাকবেই। এ নিয়ে হইচই করার কিছু নেই।’
আজ রোববার দুপুর দেড়টায় রাজশাহী নগরের সাধুর মোড় এলাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, দেশে কতজন মানুষ শহীদ হয়েছে তা সঠিক বলা যাবে না। অন্যান্য দেশেও যুদ্ধ সংঘটিত হলে যুদ্ধে মৃতদের নিয়ে আলোচনা করা হয়। আর এটা চলমান প্রক্রিয়া।
রিজভী বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চাচ্ছে। আর অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার করে গণতন্ত্রের হত্যাকে চাপা দিতে আজ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দিয়েছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্যের কারণে আজ তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। তাঁর বাড়িতে রীতিমতো ঢিলপাটকলে ছোড়া হচ্ছে। আমি মনে করি এসবই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আসন্ন ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যদিও এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের বিন্দুমাত্র আস্থা নেই; তারপরও আমরা গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে যেখানে যতটুকু সুযোগ পাচ্ছি সেখানেই অংশগ্রহণ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় ব্যানারে হওয়া উচিত নয়। গ্রামে মানুষের মধ্যে যে সম্প্রীতি আছে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে তা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সদস্য শাহিন শওকত, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবু সাঈদ, দপ্তর সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন প্রমুখ।