আগামী ১৯ আগস্ট রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
সোমবার রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সূত্র জানায়, বৈঠকে সম্প্রচার নীতিমালা, গাজায় ইসরাইলি হামলা ও মাওয়ায় লঞ্চ ডুবির ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আগামী ১৬ আগস্ট সারা দেশব্যাপি কালো পতাকা নিয়ে মৌন মিছিল করবে ২০ দলীয় জোট।
এছাড়া আগস্ট মাসে কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আগামী ১৬ আগস্ট ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে কালো পতাকা প্রদর্শনী, ১৯ আগস্ট জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, খুব শিগগিরই ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন শেষে ২০ দলীয় জোটের ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’ গঠন এবং ২১ আগস্ট থেকে ২০ দলীয় নেতাদের জেলা সফর।
১৯ আগস্টের বিক্ষোভে খালেদা জিয়ার যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং মঙ্গলবার ব্রিফিং শেষে নেতারা কর্মসূচির অনুমতির জন্য ডিএমপির কাছে চিঠি নিয়ে যেতে পারেন।
এদিকে, সোমবার রাত নয়টায় ভবিষ্যত আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণে ২০ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে আরো সিদ্ধান্ত হয়, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় প্রেসব্রিফিং করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
বৈঠক সূত্র এ তথ্য জানা যায়।
সোমবারের বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদ, জামায়াত নেতা মো. আবদুল হালিম, বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, খেলাফত মজলিশের মওলানা মো. ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপি’র অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপি গোলাম মর্তুজা, ন্যাপ জেবেল রহমান গণি, ইসলামিক পার্টির অ্যাডভোকেট আবদুল মবিন, মুসলীম লীগের কামরুজ্জামান খান, ন্যাপ (ভাসানী) অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ পিপলস লীগের (গরিব নেওয়াজ) সাইফুদ্দিন মনি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম এবং সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয় সূত্র জানায়, সরকার পতনে পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এ বৈঠক করেন খালেদা জিয়া।
বৈঠকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের চূড়ান্ত কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবির বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পায়। এর আগে একই লক্ষ্যে রোববার বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক করেন খালেদা।