খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে “শয়তানের দূত” আখ্যা দিয়েছে সম্প্রতি বিএনপির ২০ দল থেকে বেরিয়ে আসা ইসলামী ঐক্যজোট।তাকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে বাদ দেয়ার দাবিও জানিয়েছে জোটটি।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী ও মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘শয়তান, শয়তানের দূতের কাজ হচ্ছে আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। ইসলামের মূল ইনস্টিটিউশন মসজিদ, মাদরাসা বন্ধ করে দিয়ে দেশকে ইসলামশূন্য করা।’
তারা বলেন, ‘জাতিকে পাপাচারে লিপ্ত করে মানুষের ঈমান ছিনিয়ে নেয়া, মানুষকে আলো থেকে আঁধারে নিয়ে এবং আঁধারের সে পথ দিয়েই জাহান্নামে নিয়ে যাওয়া। মন্ত্রী কামরুল সে অপকর্মটিই করে যাচ্ছে।’
বিবৃতিতে এই দুই নেতা বলেন, ‘কওমী মাদরাসার বিরুদ্ধে কথা বলার মানে ইলমে ওহীর বিরুদ্ধে, আল্লাহর দ্বীনের বিরুদ্ধে কথা বলা।’
তারা আরো বলেন, ‘নৈরাজ্যমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, অস্ত্রমুক্ত, মাদকমুক্ত, আদর্শ নাগরিক এবং আলোকিত মানুষ গড়ার কারখানা এবং সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠাকারী এবং নৈতিক চরিত্রবান দেশপ্রেমিক সুনাগরিক এবং আল্লাহভীরু বান্দাহ তৈরির মহত্তম প্রতিষ্ঠান এই কওমী মাদরাসাগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসেন, হেদায়াত দিয়ে মানুষকে জান্নাতের পথে আনেন। ’
তারা খাদ্যমন্ত্রী কামরুলকে শয়তানের দূত উল্লেখ করে বলেন, ‘অবিলম্বে শয়তানের দূতদেরকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে অপসারণ করতে হবে। ওয়াজ-মাহফিল ও তাফসির মহফিলগুলোকে নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা বন্ধ করতে হবে। মসজিদের ইমাম, খতিব, খুতবা ও মাদরাসা শিক্ষক, নিরীহ আলেম-উলামাদের ওপর নজরদারি বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।’