জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে : মির্জা ফখরুল

0

mirza fakrulবাংলাদেশ এখন বিপন্ন। মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই। ভোটের অধিকার ও সংগঠন করার অধিকার নিয়ে নেয়া হয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি। যুদ্ধের মুল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র, মানুষ ন্যায় বিচার পাবে। দুঃখের সাথে বলতে হয় আজকে ৪৪ বছরেও আমরা কিছু পাইনি। তাই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করাতে হবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। তিনি আজ শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে যখন সুপরিকল্পিতভাবে ধংস করে ফেলা হচ্ছে তখন বিএনপিতে যোগদান অনেক বেশি অনুপ্রেরণা জাগাবে। বাংলাদেশ এখন বিপন্ন, গণতন্ত্র নির্বাসিত, মানুষের স্বাধীনতা নেই। ভোটের অধিকার হনন করা হয়েছে। সংগঠন করবার স্বাধীনতা নিয়ে নেয়া হয়েছে। দেশ এখন গণতন্ত্রের উল্টো দিক অবস্থান করছে। ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে আন্দোলন হলেও আমরা সফল হতে পারছি না। মতভেদ ভুলে গিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। জেলার যে নেতাকর্মীরা মামলার শিকার হয়েছেন, তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। সবার তালিকা মানুষকে জানাতে হবে। এখন আমাদের দলের ছয় হাজার নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন। দেশে আইনের শাসন নেই অভিযোগ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, আমাদের নেত্রী সংলাপের আহবান জানিয়েছেন, কিন্তু তারা আলোচনা করতে চায় না। তারা জানে সংলাপের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা জয়লাভ করতে পারবে না। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের জানাজায় লাখ লাখ লোক উপস্থিত হয়েছিল। তার কবরে হাত দিতে গেলে লাখ লাখ মানুষ প্রতিবাদে ফেটে পড়বে।

কাউকে দাওয়াত দেয়া লাগবে না। সরকারের উচিত বুঝে শুনে কবরে হাত দেয়া। পত্রিকায় নিউজ যা-ই হোক তারেক রহমান ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব দিবেন আমরা এটা বিশ্বাস করি। আমরা ধানের শীষের সমর্থক। শহীদ জিয়ার সৈনিক। পরে অর্ধশতাধিক কর্মী বিএনপিতে যোগদান করলে তাদের বরণ করে নেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে সকাল ১০টায় জেলা বিএনপি একটি বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তৈমুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন লাল সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হালিম প্রমুখ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More