বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, প্রধান বিচারপতির বক্তব্য নিয়ে বিএনপি বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। বিএনপি যদি মনে করেন, তারা এই সুযোগটা কাজে লাগাবেন তাতে কোন লাভ হবে না।
শুক্রবার বেলা ১২টায় কুষ্টিয়ায় নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
হানিফ বলেন, আমাদের দেশে ট্রাডিশন আছে অনেক বিচারপতি তারা তাদের সাধারণত কর্মকালীন অবস্থায় যে রায়গুলো দেন, সে রায়ের পুর্ণাঙ্গ রায়টা লেখার সময় হয়তো কার্যকালীন সময়ে না পারার কারণে, অবসরের পরে পূর্ণাঙ্গ রায় লিখে থাকেন। এই ট্রাডিশনটা চলে আসছে। এই ট্রাডিশনা খুব যুক্তিযুক্ত নয় বলে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেছেন। তার মানে কর্মকালীন সময়ে তার দেয়া রায় যে অযোক্তিক এমন কোন মন্তব্য তিনি করেননি।
হানিফ আরো বলেন, ইতিমধ্যেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল যে অবৈধ ছিল উচ্চ আদালতের রায়ে তা প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল ও তার দল গঠন অবৈধ। সেই বিবেচনায় বিএনপিও বর্তমানে অবৈধ দল হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। তিনি আরো বলেন, একজন সাবেক বিচারপতি (খায়রুল ইসলাম)’র দাবি জানানোর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় বিএনপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়ার মধ্যে চলে গেছে। তাদের দেউলিয়াপনার রাজনীতি থেকে এধরনের মন্তব্য বা দাবি করে যাচ্ছে।
ব্যাংক কর্মকতা রাব্বীকে নির্যাতনের প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ব্যাংক কর্মকতা রাব্বীকে নির্যাতনের জন্য যে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তা ইতিমধ্যেই আংশিক সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, দু-একজন উচ্ছশৃংখল কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ভুল বা অপরাধের কারণে গোটা বাহিনীর ভাবমুর্তি বিনষ্ট হতে দেয়া যাবে না। এটা কোনভাবেই যোক্তিক না, মেনে নেয়া যায় না। রাব্বিকে প্রহার বা নির্যাতনের জন্য যে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, যেটা আংশিকসত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক এবং এর মধ্য দিয়ে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ফিরে আসুক এটা আমরা চাই। তিনি আরো বলেন, মামলার বিষয়ে যেহেতু উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছে সেহেতু আদালতের বিষয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। আমরা আশা করছি আদালতের মাধ্যমেই এর দ্রুত নিস্পত্তি হবে এবং পূর্ণ তদন্ত হয়ে এই অপরাধের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হবে।