চট্টগ্রাম ১১ আসনের সংসদ সদস্য এমএ লতিফের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন চট্টগ্রামের স্থানীয় ৭ সংসদ সদস্য। একই সঙ্গে তারা লতিফের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমালোচনা করেছেন। বুধবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারা মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমালোচনা করে লতিফের পাশে দাঁড়ান।
ওই সাত সংসদ সদস্য হচ্ছেন, চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-০৬), শামসুল হক চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১২), মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৪), মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৬), দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-০৪) ও মাহফুজুর রহমান (চট্টগ্রাম-০৩)।
বিবৃতিতে সংসদ সদস্য এম এ লতিফের বিরুদ্ধে আনা বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রামের সাত সংসদ সদস্য। ওই ঘটনার প্রতিবাদে লালদিঘীর মাঠে দেয়া নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদও জানিয়েছেন তারা। এতে উল্লেখ করা হয়। ছবি বিকৃতির আত্মস্বীকৃত ডিজাইনারের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়ে এমএ লতিফের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য কোনভাবেই একজন দায়িত্বশীল নেতার আচরণ হতে পারে না। তারা বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি লালদিঘী মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দুইবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য এমএ লতিফের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃতির মিথ্যা অভিযোগ এনে নাগরিক মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের সমান।
সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্যে প্রতিবাদ জানিয়ে ৭ সংসদ সদস্য আরো উল্লেখ করেন, ‘এমএ লতিফের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে, যদি কোন তরুণ যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে আঘাত করে, যদি এতে তার মৃত্যু হয়, তাহলে নির্দেশদাতা হিসেবে অপরাধী হতে আমি রাজি আছি। মামলায় আমাকে প্রথম আসামি করতে পারবেন। মহিউদ্দিন কাঠগড়ায় যেতে রাজি আছে।’ এটা কোন সভ্য মানুষের বক্তব্য হতে পারে না। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি দলীয় শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের সমান। নগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ও সংসদ সদস্য এমএ লতিফের বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য থাকলে দলীয় ফোরামে অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়,‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা, সংসদ নেত্রী ও দলীয় প্রধান তার কাছে অভিযোগ না করে লালদিঘীর মাঠে প্রতিবাদ সভার আয়োজন ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়া সরাসরি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি, রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ ও পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছু নয়।’ মহিউদ্দিন চৌধুরীকে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন তারা।
Next Post