ইউরোপ যাত্রা: সন্তানের মুখ দেখা হলো না রিপনের

0

ইউরোপ পাড়ি জমানোর পথে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যাওয়া হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের যুবক রিপন মিয়ার লাশ আসছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার।

বাংলাদেশে রিপন মিয়ার অপেক্ষায় থাকা তার স্ত্রী ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু সেই সন্তানের মুখ আর দেখা হয়নি রিপন মিয়ার। তার আগেই সব আশা ও স্বপ্নের পরিসমাপ্তি ঘটল হাজারও মাইলে দূরে ভূমধ্যসাগরের অতল জলরাশিতে।

রিপন মিয়ার বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে। এক সন্তানের জনক তিনি। দেশে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ বাবা-মা রেখে ইউরোপের উদ্দেশ্যে আফ্রিকায় পাড়ি জমিয়েছিলেন রিপন। গত বছরের ৩১ অক্টোবর দালালের মাধ্যমে আলজেরিয়ার ওরান থেকে রাতে স্পিডবোটে করে অন্যান্য দেশের আরও ১৮ জনকে নিয়ে রিপন মিয়া রওনা হন স্পেনের উদ্দেশ্যে।

উত্তাল ভূমধ্যসাগরে ছয় ঘণ্টার যাত্রা শেষে যখন স্পেনের উপকূল দৃষ্টিসীমায় আসে, তখন নৌকা থেকে তারা লাফিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক পানিতে ডুবে মারা যান রিপন মিয়া ও মরক্কোর এক নাগরিক। আর বাকি ১৬ জন স্পেনে পৌঁছান। তাদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি রয়েছেন।

রিপন মিয়ার স্বপ্ন ছিল ইউরোপে গিয়ে প্রতিষ্ঠিত হবেন। এর পর দেশে ফিরে স্ত্রী-সন্তান ও বাবা-মাকে নিয়ে সংসারের হাল ধরবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হবে না কোনো দিন।

স্পেনের এনজিও সিআইপিআইএমডির পক্ষ থেকে দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) আলমেরিয়ায় গিয়ে রিপন মিয়ার লাশ শনাক্ত করেন। ৫ জানুয়ারি দুপুরে টার্কিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে তার মরদেহ পৌঁছাবে বাংলাদেশে।

স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম) মুতাসিমুল ইসলাম জানান, সাগরপথে লিবিয়া, আলজেরিয়া থেকে ইউরোপে এ ধরনের দুর্গম পথে যাত্রা অত্যন্ত বিপদসংকুল। দালালের প্ররোচনায় এ ঝুঁকিপূর্ণ সাগরপথে পা না বাড়ানোর জন্য তিনি প্রবাসীদের অনুরোধ জানান।

jugantor

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More