সমুদ্রের পানির নিচে ডেটা সেন্টার বা তথ্য ভান্ডার করার বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। এ ধরনের তথ্য ভান্ডার সমুদ্রের পার্শ্ববর্তী মানুষকে মাইক্রোসফটের সেবা পেতে সাহায্য করবে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, তথ্য ভান্ডার করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখন কৌশলগত সুবিধার জন্য বিভিন্ন অদ্ভুত জায়গা বেছে নিচ্ছে। যেমন ফেসবুক সম্প্রতি সুইডেনের লুলিয়াতে তথ্য ভান্ডার স্থাপন করছে। কারণ, এখানকার শীতল আবহাওয়া তথ্য ভান্ডারের কুলিং সেন্টারের কাজ করবে। এ ছাড়া আয়ারল্যান্ডের ক্লোনিতে আরেকটি তথ্য ভান্ডার স্থাপন করবে ফেসবুক। এখানকার বায়ুচালিত শক্তি কাজে লাগানোর পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠানটি। ফিনল্যান্ডের হামিনাতে গুগলের ডেটা সেন্টার কুলিং সিস্টেম হিসেবে সমুদ্রের বায়ু কাজে লাগাচ্ছে।
এবার মাইক্রোসফট পানির নিচে তথ্য ভান্ডার করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।
মাইক্রোসফট এ প্রকল্পটির নাম দিয়েছে ‘প্রজেক্ট ন্যাটিক’। মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ বলছে, তাঁদের পরিকল্পনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ক্লাউড সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সুবিধা পাওয়া যাবে বলে মনে করছে মাইক্রোসফট। সমুদ্র তীরবর্তী ২০০ কিলোমিটারে পর্যন্ত মানুষকে দ্রুতগতির সেবা দেওয়া সম্ভব হবে এতে। এটি পরিবেশবান্ধব ও তথ্য ভান্ডার শীতল রাখার খরচ কমবে এতে।
Prev Post
Next Post