ডুবে যাওয়া নৌযান সনাক্তকরণে রফিকের প্রযুক্তি

0

rofiqশ্রীপুরের মাওনা দক্ষিণপাড়া গ্রামে রফিকুল ইসলাম নামে এক যুবক নৌযান সনাক্তকরণের একটি যন্ত্র আবিস্কার করেছেন। গভীর নদীতে কোন নৌযান ডুবে গেলে তার আবিস্কৃত ওই যন্ত্রের সাহায্যে নৌযানটি খুব সহজে খুঁজে বের করা যাবে বলে তার দাবি। সিলভার, তার আর ববিন দিয়ে এই যন্ত্রটি তৈরি করতে সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হবে বলে জানান রফিকুল ইসলাম। নৌযানের উপরিভাগে সিলভারের তৈরি একটি বল রাখতে হবে এবং নিচে তার রাখার জন্য বিশেষ ধরণের একটি বক্স থাকবে। নৌযানটি দুর্ঘটনায় পতিত হলে সিলভারের তৈরি ওই বলটি পানিতে ভেসে উঠবে। নদীর তলেদেশের যেখানেই নৌযান থাকবে বলটিও সেখানেই ভাসমান অবস্থায় থাকবে।
যন্ত্রটির আবিস্কারক রফিক আরো জানান, তার তৈরিকৃত যন্ত্রটি যদি আগে থেকে নৌযানে স্থাপন করে রাখা হয় তাহলে অতি দ্রুত ও সহজে দুর্ঘটনার স্থানে সুনির্দিষ্টভাবে নৌযান খোঁজে বের করে আনা সম্ভব। এটি দিয়ে পানিতে চলাচলকারী সব ধরনের নৌকা, লঞ্চ, স্টীমার, কারগো ও অন্যন্য সকল নৌযান সনাক্ত করা যাবে। দুর্ঘটনায় কোন নৌযান অর্ধেক ডুবা মাত্রই বলটি নিজস্ব কৌশলে পানিতে ভেসে উঠবে। যদি কোন কারণে বলটির ভেতর পানি ঢুকে যায় তাহলেও বলটি পানিতে ভাসমান থাকবে। বলটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে সিলভার, স্টীল, বিয়ারিং, কর্কসিট, এস.এস তার, এম.এস তার, ক্রেনের মোটা তার ও অন্যন্য ক্ষুদ্র যন্ত্রপাতি।
খুব ছোট বেলায়ই ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেন মোড়লের ছেলে রফিকুল ইসলামকে আবিস্কারের নেশা পেয়ে বসে। পড়াশোনায় বেশি দূর এগোতে না পারলেও কিছু একটা আবিস্কারের জন্য তিনি সাধনা করছেন বহুকাল ধরে। দীর্ঘদিন মাওয়া ফেরিঘাট এলাকায় কাজ করেছেন তিনি। মূলত এখান থেকেই তার মাথায় এই যন্ত্র আবিস্কারের ধারণা আসে। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে রফিকুল তার আবিস্কৃত যন্ত্রটি বিশ্ব সমাদৃত করতে সক্ষম হবেন বলে জোর দিয়েই বললেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More