পিটিআই’র রিপোর্ট
বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা ‘প্রাইভেট’। এ বিষয়টি প্রকাশ করা যাবে না। এ মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহি। তিনি ভারতের ব্যাঙ্গালোরে ইন্ডিয়া এনার্জি উইকে যোগ দেয়ার এক ফাঁকে এ মন্তব্য করেছেন। এ খবর দিয়েছে ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই। এতে তিনি বলেছেন, ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহে আদানি গ্রুপের সক্ষমতা নিয়ে বাংলাদেশের কোনো উদ্বেগ নেই। তিনি আরও বলেন, খুব শিগগিরই বিদ্যুৎ আসবে। গ্রীষ্মে চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে এবং সে সময় আসছে। এ সময়ে আদানি পাওয়ারের ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খুব সহায়ক হবে। ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত আদানি পাওয়ারের গোড্ডা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এরই মধ্যে ‘ইন প্লেস’।
এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। লোকজন সেখানে গিয়েছেন এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেখেছেন। রিপোর্টে বলা হয়, গোড্ডা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ আছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন এর মধ্যে সম্পন্ন হয়নি। খবরে বলা হয়েছে, আমদানি করা কয়লার উচ্চ দামের কারণে জ্বালানির খরচ কমানোর জন্য আদানি পাওয়ারের কাছে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এই প্রস্তাব বিবেচনা করছে আদানি গ্রুপ। ২০১৮ সালে ১৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনা নিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে দীর্ঘ ২৫ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি করে আদানি পাওয়ারের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট রিভিশনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে আদানি পাওয়ার। পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্টে উল্লিখিত প্রতি টন কয়লার দাম ৪০০ ডলারের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। তারা আদানি পাওয়ারকে অনুরোধ করেছে এই মূল্য প্রতি টন ২৫০ ডলার করতে। উল্লেখ্য, ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন গোড্ডার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেশ-বিদেশে। এটি প্রতিষ্ঠা করেছে আদানি পাওয়ারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার (ঝাড়খণ্ড)। এর ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিটটি বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিডের সঙ্গে ‘সিনক্রোনাইজড’ করা হয়েছে।