স্বপ্নের সড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ!

0

স্বপ্নের এক্সপ্রেসওয়েতে মৃত্যু যেন থামছে না। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচল করছে। কোনো যানবাহনই গতিসীমা মানছে না। দ্রুত গতিতে চলানোয় প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে, প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ। মুল সেতুতে যানবাহনের গতিশীমা নিয়ন্ত্রিত হলেও সেতুর দুই পাশে বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে যানবাহন। এতে দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে। গতকাল শিবচরের কুতুবপুর সীমানা এলাকায় বাস খাদে পড়ে ১৯ জন মারা গেছেন। আহত হয়ে অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একই দিন মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হন।

চলতি সাপ্তাহেই শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। রমজানের পর ঈদুল ফিতর। ঈদ উপলক্ষে এই সড়কে যানবাহনের চাপ কয়েকগুন বেড়ে যাবে। সংশ্লিষ্টরা এখনোই যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে তখন বড় ধরনের দুর্ঘটনা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য এক্সপ্রেসওয়েতে উঠেই ড্রাইভাররা যানবাহনের গতি বাড়িয়ে দেন। গতিসীমা না মানায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। জানতে চাইলে সেভ দ্য রোডের মহাসচিব শান্তা ফারজানা ইনকিলাবকে বলেন, দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মহাসড়ক ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে এখন দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসেবে পরিচিত পাচ্ছে। পদ্মা সেতু যানবাহনের জন্য খুলে দেয়ার পর থেকে এই সড়কে দুর্ঘটনা যেন পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। তবে পদ্মা সেতুতে এখনো মোটরসাইকেল চালানো নিষেধ থাকলেও পদ্মা সেতুর দু’পাড়ে নির্ধারিত স্পটে এসে মোটরসাইকেলগুলো পিকআপে করে সেতু পারাপার করার পর আবার চালানো শুরু করে। এমনকি অনেকে ট্রলারে করে মোটরসাইকেল পার করে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে বেপরোয় গতিতে চালায়। একারণেও দুর্ঘটনায় বাড়ছে এই সড়কে।

পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল নির্বিঘœ করতে ঢাকা থেকে মাওয়া এবং জাজিরা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটারের এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়। কিন্তু মহাসড়কটি দেশের সবচেয়ে বড় ও নিরাপদ মহাসড়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাস ড্রাইভারদের গোয়ার্তুমি, অদক্ষ ড্রাইভার, গতিসীমা না মানায় বিশ্বমানের এই সড়কেই প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে অকালে ঝড়ে যাচ্ছে প্রাণ। পঙ্গুত্ববরণ করে অনেকে হয়েছেন পরিবারের বোঝা। প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা বাড়লেও কোনো ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মহাসড়ক ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে এখন দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসেবে পরিচিত পাচ্ছে। পরিবহন মালিকদেরও গাফিলতি রয়েছে। মালিক-চালক সবাইকে সচেতন হতে হবে। বুয়েটের পরীক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে এসব কিছুর ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ঢাকা ভাঙ্গা হাইওয়ে এক্সপ্রেসের শিবচরের কুতুবপুর সীমানা এলাকায় বাসের সামনের বাম পাশের একটি চাকা পাঞ্চার হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পরে গেলে বাসে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ১৪ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিক ও হাসপাতালে নেয়া হলে আরো ৫ জন নিহত হয়। নিহত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। বাকিদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। বাসটি ফুলতলা, খুলনা বাসস্ট্যান্ড থেকে ভোর ৪ টার সময় ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা করে।

নিহতরা হলেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার হিতোডাঙ্গা গ্রামের সৈয়দ মুরাদ আলীর ছেলে মো. ইসমাইল, গোপালগঞ্জের গপিনাথপুর গ্রামের তৌয়ব আলীর ছেলে হেদায়েত মিয়া বাহার, নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কালনা গ্রামের বকু সিকদারের ছেলে ফরহাদ সিকদার, গোপালগঞ্জ সদরের শান্তি রঞ্জন মন্ডলের ছেলে অনাদী মন্ডল নিহত অনাদি মন্ডল পরিবার পরিকল্পনার উপ পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন, গোপালগঞ্জে সরকারের বনগাও এলাকার সামচুল শেখের ছেলে মোস্তাক আহমেদ, গোপালগঞ্জ সদরের ছুটকা গ্রামের নশর আলী শেখের ছেলে সবজি শেখ,গোপালগঞ্জ সরদরের পাচুরীয়া গ্রামের মো. মাসুদের মেয়ে সুইটি আক্তার, গোপালগঞ্জর টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কাঞ্চন শেখের ছেলে মো. কবির শেখ, গোপালগঞ্জ সদরের আবু হেনা মস্তফার মেয়ে আফসানা মিমি, গোপালগঞ্জ মোকসেদপুর উপজেলার আমজাদ আলীর খানের ছেলে মাসুদ খা, খুলনার সোনাডাঙার শেখা আহমেদ আলী খানের ছেলে শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, খুলনার চিত্ত রঞ্জন মন্ডলের ছেলে চিন্ময় প্রসন্ন মন্ডল, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার পরিমল সাধুর ছেলে মহাদেব কুমার সাধু, খুলনার টুটপাড়ার শাজাহান মোল্লার ছেলে আশরাফুল আলম লিংকন, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখীপুর গ্রামের আমজেদ আলী সরদারের ছেলে রাশেদ সরদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আলী আকবরের ছেলে জাহিদের লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।

নিহতের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে যানিয়েছে শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় শিবচরে ১৬ জন এবং ঢাকা মেডিকেলে আরো ২ জন নিহতসহ ১৯ জন নিহত হয়েছে। এর জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমারাকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের আগামী ২ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জামা দিতে বলা হয়েছে।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১৭ জন এবং অন্যত্র আরও ২ জন মোট ১৯জন মারা গেছে। উপজেলা সদর হাসপাতালে যে ১৭ জনকে নিয়ে আসা হয়েছিল, তাদের প্রত্যেকের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে তাদের দাফন কাফনের কাজ করার জন্য দেয়া হয়েছে এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।

এর আগে ১৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের সমষপুর এলাকায় ট্রাক-বাসের সংঘর্ষে ১ চালক নিহত, ২৮ নভেম্বর সিরাজদিখানে দুই বাসের সংঘর্ষে ১জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়, ১৮ ডিসেম্বর পদ্মাসেতু উত্তর থানার সামনে দুই বাসের সংঘর্ষে ২জন নিহত ও ৫জন আহত হয়, ২৪ ডিসেম্বর দুই বাসের সংঘর্ষে ৫ জন আহত, ২৮ ডিসেম্বর সংঘর্ষে ৩জন নিহত ও ২জন আহত, ৩০ ডিসেম্বর দুই বাসের সংঘর্ষে ৫জন আহত, ২জানুয়ারি ষোলঘরে ৫ জন আহত, ১৭ জানুয়ারি হাসাড়া গাড়ির চাপায় ১ প্রভাষক নিহত হন, ২২ জানুয়ারি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে একজন নিহত ও ৩ আহত, ৪ ফেব্রুয়ারি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১জন নিহত ও ৩ জন আহত, ১০ ফেব্রুয়ারি, বাসের সংঘষে ১ জন ২ জন আহত, ৮ মার্চ ১জন নিহত ১জন আহত, ১৯ মার্চ দুই বাসের সংঘষে ৫জন আহত হয়, ১৮ মার্চ পৃথক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছে। এই সময়ে মোট নিহত ১৬ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ৩৪ জন।

বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছে। গত শুক্রবার গভীর রাত ৩টা থেকে শনিবার সকাল ৮টার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে ষোলঘর এলাকায় পথচারী উজ্জল মৃধাকে দ্রুত গতির একটি গাড়ি চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। উজ্জল মৃধা শ্রীনগর উপজেলা কুকুটিয়া গ্রামের মানিক মৃধার ছেলে। সে ভবঘুরে। রাত সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার উমপাড়া এলাকায় ট্রাক চালক হোসেন আলী চাকা মেরামত করার সময় পেছন দিক থেকে আপর একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। হোসেন আলীর বাড়ি কুষ্টিয়ার বেড়ামারার ঘোলদাগে। শনিবার সকাল ৮টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে ষোলঘর বাসস্ট্যান্ডে গোপালগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে কয়েকজন যাত্রী নামার সময় বিপরীতমুখি আরেকটি বাস তাদেরকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে অজ্ঞাত নামা ১ জনের মৃত্যু হয়। হাবিবুর রহমান নামে আরেক জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাবিবুরের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটয়ালী পাড়ায়।

বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শ্রাবণ নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছেন। শ্রাবণ রাজধানীর দক্ষিণ খানের ফায়দাবাদের চৌরিটেক এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। ২৬ জানুয়ারি রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন রাত ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় মো. মিনহাজ নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরেকজন। গত ২ ডিসেম্বর ভোর ৪টায় মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাসাড়া এলাকার আন্ডারপাসের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। একটি মোটরসাইকেলে ঢাকা থেকে মাওয়ার দিকে যাচ্ছিলেন দুই জন। ভোরে শ্রীনগরের হাসাড়া আন্ডারপাসের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলচালক মারা যান। আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহী এক নারী। তার পরিচয় জানা যায়নি।

বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত এক নারী নিহত হয়েছেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেস ওয়ের বেজগাও বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেস ওয়ের মাওয়ামুখী সড়কে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নারীর মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করে।

এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রী উঠানোর সময় তিনটি বাসের সংঘর্ষ হয়। গত ১৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রী উঠানোর সময় তিনটি বাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন শিশু। অন্যজন তরুণ। তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। বেলা পৌনে তিনটার দিকে ঢাকামুখী মোল্লা পরিবহনের একটি বাস শ্রীনগরের কেউটখালী এলাকা থেকে যাত্রী তুলছিল। মোল্লা পরিবহনের সামনে ছিল সাকুরা পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস। ওই সময় পেছন থেকে শরিয়তপুর পরিবহনের একটি বাস এসে মোল্লা পরিবহনকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। এতে ওই তিন বাসের ১০-১৫ জনের মতো আহত হন।

বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে পিকআপ ভ্যানের সাথে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছে। গত ২৪ জুলাই শ্রীনগর উপজেলার কেয়টখালী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে ঢাকামুখী তীর কোম্পানির একটি হলুদ রংয়ের পিকআপ ভ্যানের সাথে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশায় আরোহী এক নারী নিহত হয়। নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় অটোরিকশার আরো চারজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়।

ঢাকা-ভাঙ্গা বঙ্গবন্ধুএক্সপ্রেসওয়ের কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুর ফ্লাইওভার এর উপরে গরুবাহী পিকআপ দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত ও গাড়িতে থাকা অপর তিনজন আহত হয়েছে। নিহত ও আহত সবাই শরীয়তপুরের বাসিন্দা তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় গাড়িতে থাকা তিনটি গরু মারাত্মক আহত হয়েছে। গত ৯ জুলাই রাত সাড়ে দশটায় গরুবাহী পিকআপ টি পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে আসার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, এক্সপ্রেসওয়েগুলো আন্তর্জাতিক মানের করা হয়। তবুও আমাদের দেশে এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। এখানে চালকের ভুলের জন্যও দুর্ঘটনা ঘটছে। পরিবহন মালিকদেরও গাফিলতি রয়েছে। মালিকদের সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে তারপরও তারা সচেতন হচ্ছে না। মালিক-চালক সবাইকে সচেতন হতে হবে। এক্সপ্রেসওয়েতে বেস্টুনি দেয়া থাকে। এখানে উচ্চ গতি ও নিম্ন গতির গাড়ি আলাদা লেনে চলার কথা থাকলেও চলছে সব একসাথে। তাই দুর্ঘটনা বাড়ছে। সড়ক জনপথ দেখবে এসব দুর্ঘটনা ঘটার জন্য কোনো ত্রুটি আছে কিনা। বুয়েটের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে এসব কিছুর ব্যবস্থা নিতে হবে।

উৎসঃ   ইনকিলাব
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More