তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭ হাজার ২৬৬ জনে। আহত হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি। ভবনের ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। তারা বাঁচার জন্য আর্তনাদ করছেন। তাদের কেউ কেউ মোবাইলে ভিডিও বার্তা, ভয়েস মেইল পাঠিয়ে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন। হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা, তুষার ও বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ঘটায় তাদের জীবিত উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
এ ঘটনায় তুরস্কের ১০টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
তুরস্ক ও সিরিয়াজুড়ে চাপা পড়া ব্যক্তিদের খুঁজতে ও উদ্ধার করতে হাজার হাজার উদ্ধারকর্মী, দমকলকর্মী, চিকিৎসাকর্মী, সামরিক ও বেসামরিক লোকজন আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসেস বলেছেন, আমরা এখন সময়ের বিরুদ্ধে দৌড়াচ্ছি। প্রতিটি মিনিট, প্রতিটি ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে আর জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে আসছে।
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল এবং উত্তর সিরিয়ার বেশিরভাগ অংশজুড়ে উদ্ধার অভিযান চলছে। বেশ কয়েক হাজার উদ্ধারকর্মী কাজ করছেন। সেই সঙ্গে উদ্ধারকাজে যোগ দিতে বিভিন্ন দেশ উদ্ধারকর্মী পাঠানোর কথা ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টা (স্থানীয় সময় রাত ১০টা) পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ২৬৬। এর মধ্যে তুরস্কে ৫ হাজার ৪৩৪ ও সিরিয়ায় ১ হাজার ৮৩২। দুই দেশে আহত ছাড়িয়েছে ২০ হাজার। ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৮ হাজারের বেশি মানুষকে। তুরস্ক সরকার ৩ লাখ ৮০ হাজার জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলেছে, তাদের কাছে ১১ হাজার ৩৪২টি ভবন ধসে পড়ার খবর রয়েছে, যার মধ্যে ৫ হাজার ৭৭৫টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
jugantor