ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মুনতারিনের বাবা একেএম মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। একই সঙ্গে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের অনুমতি চেয়ে আরেকটি আবেদন করেন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ লাশ দাফনের অনুমতি দিলে একই দিন মুনতারিনের লাশ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পুলিশ জানায়, মুনতারিনের বাবা একেএম মাহবুবুর রহমান চৌধুরী গুলশান থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, গুলশান ৭৬ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাসার এ-৪ ফ্ল্যাটের সামনের দিকের বেলকনি থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন মুনতারিন। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৯টা ৫১ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। তিনি মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে কানাডা থেকে ঢাকায় আসেন। বৃহস্পতিবার সকালে গুলশান থানা পুলিশ ইউনাইটেড হাসপাতালে গিয়ে মুনতারিনের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। পরে পুলিশের কাছ থেকে লাশটি বুঝে নেন মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদের সামনে তার জানাজা শেষে বনানী কবরাস্থানে দাফন করা হয়। জানাজা শেষে মুনতারিনের বাবা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া গাছের একটি পাতাও নড়ে না। আল্লাহর ইচ্ছাতেই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমার মেয়ের জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর গুলশানের বাসার চতুর্থ তলার বেলকনি থেকে নিচে পড়ে যান মুনতারিন চৌধুরী। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে মুনতারিনের মৃত্যু নিয়ে পরিবারের সদস্যদের রহস্যজনক আচরণ ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের জন্য বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। কেউ বাসার ছাদ থেকে পড়ে আবার কেউ বেলকনি থেকে পড়ে মারা গেছে বলে জানায়। এদিকে ঘটনার পর থেকেই অপঘাতে মৃত্যুর পরও পুলিশ বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করে। লাশের সুরতহাল তৈরিকারি ও অপমৃত্যু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই বোরহান উদ্দিন রানা জানান, লাশের মাথার পেছনে বড় ক্ষত ছিল। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানেও ক্ষত চিহ্ন ছিল। ওপর থেকে পড়ার কারণে এসব ক্ষত হয়েছে বলে তিনি জানান। গতকাল বাদ জুমা নিক্সন চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকার সব মসজিদে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।