ঢাকা উত্তর সিটিতে আ.লীগের প্রার্থী আনিসুল!

0

Awamilঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আনিসুল হক।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে তার নাম প্রকাশ করেন বলে বৈঠক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এক অনির্ধারিত আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থী আমি দিচ্ছি।’

তবে দক্ষিণে এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি। এটা পরে করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে উল্লেখ করেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, এই আলোচনাতেই প্রধানমন্ত্রী আনিসুল হককে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চূড়ান্ত প্রার্থী করার কথা জানান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দ্রুত ঢাকা সিটির নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ডিসিসি নির্বাচন দিন, আর কত আটকিয়ে রাখবেন? দ্রুত নির্বাচনের দ্রুত ব্যবস্থা করেন। এ নির্বাচন আর কতদিন ঝুলে থাকবে! যত দ্রুত সম্ভব, নির্বাচন দিয়ে দিন। এভাবে সিটি করপোরেশন চলতে পারে না। এতে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’

এ বিষয়ে আনিসুল হক আরটিএনএন- কে বলেন, ‘এমন একটি খবর আমার কানেও এসেছে। তবে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কোনো কথা আমার হয়নি।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এর আগে এ ধরনের একটি প্রসঙ্গ আমার কাছে পরোক্ষভাবে এসেছে। চূড়ান্ত কোনো কিছুই হয়নি। এখন সরাসরি প্রস্তাব আসলে বিষয়টি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করে দেখব।’

এর আগে চলতি বছরের শীত মৌসুমের মধ্যে রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ৮ ডিসেম্বর সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশের পরও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

সে সময় নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছিল, দুই ডিসিসির সীমানা জটিলতা নিরসন না করে নির্বাচন সম্ভব নয়। তবে সীমানা পুনর্নির্ধারণ সম্পন্ন হলে ফেব্রুয়ারিতে তফসিল ঘোষণা করে মার্চে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে। কিন্তু সব বাধা দূর করে দ্রুত নির্বাচন দেয়া সম্ভব হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কার্যত এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, অভিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০০২ সালের এপ্রিলে। এরপর টানা প্রায় ১০ বছর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা।

২০০৭ সালের ১৫ মে তার মেয়াদ শেষ হলে সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রশাসক নিয়োগ করে। আর ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করা হয়।

এরপর ২০১২ সালের ২৯ এপ্রিল তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এতে ২৪ মে নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু ভোটার তালিকা ও সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় নির্বাচনের ওপর নিষেদাজ্ঞা জারি করেন আদালত। এরপর ২০১৩ সালের ১৩ মে আদালত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।

এদিকে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত ওই আলোচনায় দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘যারা বলছেন- এই পরিস্থিতির জন্য দুই নেত্রী দায়ী। এখানে আমার দোষ কোথায়? সবই তো ঠিক ছিল। যারা বোমা মারছে, মানুষ হত্যা করছে, তাদের সঙ্গে আমাকে কেন মেলানো হচ্ছে?’

তিনি বলেন, ‘তাদের কেন দায়ী করা হয় না? আমাকে কেন দায়ী করছে? আমি তো এসব করছি না।’

সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণকারীদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এসব কথা বলছেন, যারা বিশেষজ্ঞ, তারা দেখে না কেন, কারা এটা করছে? তারা দেখুক? জনগণ কী বলে? আমাকে আর যিনি এসব ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তাকে কেন এক পাল্লায় দেখা হচ্ছে?’

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More