ধ্বংসস্তূপে রূপ নেবে ঢাকা

0

ঢাকার সাভারের অখ্যাত সাধারণ বিল্ডিং ‘রানা প্লাজা’ সারাবিশ্বে বিখ্যাত (!) হয়ে গেছে। ২০১৩ সালে এই একটি বিল্ডিং ধসে পড়ার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মানুষ সরাতে প্রায় ১ মাস লেগে গেছে। সারাবিশ্বের গণমাধ্যমগুলোর খবরের শিরোনাম ছিল রানা প্লাজার ওই ধ্বংসের খবর। একটি বিল্ডিংের ধ্বংসস্তূপ সরাতে যেখানে ১ মাস সময় লাগে; সেখানে তুরস্ক-শিরিয়ার মতো ভয়াবহ ভূমিকম্প হলে শত শত বিল্ডিংয়ের ধ্বংসস্তূপ সরাতে কতদিন লাগবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের বিশাল এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ। অথচ রাজধানী ঢাকার ৩০ শতাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। রিখটার স্কেলে সাড়ে ৭ বা ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে গোটা ঢাকা শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। প্রশ্ন হচ্ছে ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি কি রয়েছে? সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলার প্রসঙ্গ উঠলেই দাবি করেন মোকাবিলার প্রস্তুতি রয়েছে। এখনো তারা উদ্ভট কথাবার্তাই বলছে। বাস্তবে দেখা গেছে রানা প্লাজা ধ্বংসের পর। রানা প্লাজার মতো একটি বিল্ডিং ধসে যে পরিণতি হয়েছে; আল্লাহ না করুক প্রাকৃতিক দুর্যোগ বড় কোনো ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকাশহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। অথচ এ নিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।

গতকাল এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে ভূমিকম্পের আশঙ্কার চিত্র তুলে ধরেন। গবেষণাপত্রে জানানো হয়, বাংলাদেশে যে কোনো সময় ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। আর তাতে রাজধানী ঢাকা রয়েছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। এমন মাত্রার ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে, ধসে পড়বে দেড় লাখেরও বেশি ভবন। আর্থ অবজারভেটরি সেন্টার সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করেছে। তাদের তথ্যমতে, ভারত, ইউরেশিয়ান ও মিয়ানমার এ তিন প্লেটের সংযোগস্থলে হওয়ায় বাংলাদেশের জন্য এমন ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ঝুঁকি অনুযায়ী দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা ও প্রস্তুতি কোনোটাই বাংলাদেশের নেই। ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, বাংলাদেশসহ ভারত ও মিয়ানমারের কিছু অংশজুড়ে সুবিশাল চ্যুতি বা ফল্ট থাকায় যেকোনো মুহূর্তে ভূমিকম্প হতে পারে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা হতে পারে ৮ এরও বেশি। এতে সিলেট ও চট্টগ্রাম ছাড়াও সব থেকে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়বে রাজধানী।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, রাজধানীর ৩০ শতাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মেরামত না হয় ভেঙে ফেলতে হবে। গতকাল রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ভূমিকম্প ঝুঁকি ও করণীয় নিয়ে আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) দিনব্যাপি এ সেমিনারের আয়োজন করে।

অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, রাজধানীতে সরকারি প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, থানা, ফায়ার স্টেশন) ও পোশাক শিল্পকারখানা মিলিয়ে সাড়ে ৬ হাজার ভবন এর জরিপ করা হয়েছে। এরমধ্যে দেখা গেছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। বাংলাদেশে এখন যে কোন সময় ভূমিকম্প হতে পারে। উৎস থেকে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে ভূমিকম্প হলে ঝুঁকি থাকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের জরিপ অনুযায়ী, ঢাকা সিটি অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। ঢাকার অধিকাংশ পুরোনো ভবন এবং নতুন ভবনের একটা বড় সংখ্যক ভবন ভূমিকম্প সহনীয় কোড অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়নি। তাদের একটি জরিপে আরও উঠে এসেছে, ঢাকা সিটির জরুরি উদ্ধার ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত নাজুক। ঢাকা শহরের কেন্দ্র হতে ৫০ কিলোমিটার দূরে যদি সাড়ে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প উৎপন্ন হয় তাহলে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার ৬০৪টি ভবন মাঝারি মাত্রার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ২ লাখ ৩৮ হাজার ১৬৪টি ভবন অর্থাৎ ৭৩ শতাংশ ভবন মেরামত অযোগ্য হয়ে পড়বে।

ভূ-তত্ত্ববিদদের মতে, বাংলাদেশের সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে কয়েকটি প্লেট থাকার কারণে এসব এলাকা ভূমিকম্পের বড় ঝুঁকিতে রয়েছে। ঢাকার ৭.৫ মাত্রার থেকে ৮.৩ মাত্রার ভূমিকম্প হলে সব চেয়ে ক্ষতি হবে রাজধানীর। এর আগে বাংলাদেশে সর্বশেষ ১৮২২ এবং ১৯১৮ সালে মধুপুর ফল্টে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। ১৮৮৫ সালে ঢাকার কাছে মানিকগঞ্জে ৭.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের ইতিহাস রয়েছে। তা ছাড়া সুনামগঞ্জ, জাফলং অংশে ডাউকি ফল্টের পূর্বপ্রান্তেও ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন।

প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের ১ নম্বর ভবনটি (মন্ত্রিপরিষদ ভবন)সহ ২ হাজার ৮০০ সরকারি ভবন ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ ভবন ভবনটি ৬৭ বছরের পুরোনো, যা এরই মধ্যে ৪ বছর আগেই ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এখনো ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজধানীর পুরান ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে এক সাথেই চলছে কারখানা এবং মানুষের বসবাস। একই এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই দিন কাটে শত শত শিক্ষার্থীর। কর্মব্যস্ত মতিঝিলের বাণিজ্যিক এলাকাতেও মৃত্যুদূত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বহু ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। কিন্তু এসব নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই। রাজধানীতে যেভাবে অপরিকল্পিত ভবন গড়ে উঠেছে, তাতে ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগে কি হবে পরিস্থিতি, কতোটা ভয়ংকর হবে এমন সব প্রশ্নের উত্তর জানা নেই কারও। শুধু তাই নয় রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ মোট ভবন কতগুলো তারও সঠিক হিসাব নেই। রাজউক আয়োজিত এই সেমিনারে বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞার সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নূরুল হুদা ও সুলতান আহমেদ, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট স্বর্ণা কাজী, আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের (ইউআরপি) পরিচালক আব্দুল লতিফ হেলালী, রিহ্যাব ভাইস প্রেসিডেন্ট-১ কামাল মাহমুদ প্রমুখ। সেমিনারে কী-নোট উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী।

সেমিনারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড এর বিধান অবশ্যই মেনে নিতে হবে। সেই বিধানের আলোকে ভবন নির্মাণ করতে হবে। এখন থেকে বিল্ডিং কোড এর ব্যাপারে কঠোর হতে হবে। সকল ভবন রাজউকের তদারকির আওতায় আনতে হবে। নিয়মিত পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। বিল্ডিং কোড এর ব্যতয় ঘটিয়ে কোন ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, কোন এলাকায় কত তলার ভবন নির্মাণের সক্ষমতা রয়েছে সেটা ড্যাপের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে নির্দেন তিনি। যে সকল ভবন, মার্কেট, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, থানা বা সরকারি প্রতিষ্ঠান অথবা অন্য যে কোন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নত করে নোটিশ দিতে হবে। যেগুলো ভেঙে ফেলার সেগুলো সরকারকে অবগত করে ভেঙে ফেলতে হবে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচি কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি ঢাকায় সবচাইতে বেশি। তাই যেসকল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ সেসকল ভবনে নোটিশ টাঙিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যক্তিগত ভবন হলেও রাজউকের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণের বিষয়টি অবগত করা দরকার।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান বলেন, আমাদের ঢাকা শহরে মাটির নিচ দিয়ে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসের লাইন দেওয়া হয়েছে। সেগুলো যথাযথভাবে দেয়া হয়নি। কাজেই ঢাকা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।

রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, এখন থেকে ভবন নির্মাণ করতে হলে অবশ্যই অকুপেন্সি সনদ লাগবে। এই সনদ ছাড়া কোন সেবা সংস্থা তাদের সেবা কার্যক্রম দিতে পারবে না। যে ভবনগুলো বিল্ডিং কোড মেনে হচ্ছে না সেগুলো দেখার জন্য, যাচাই করার জন্য ল্যাব করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কোন বেসরকারি ভবনের মালিক নিজ থেকে এলে আমরা মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে ঝুঁকিপূর্ণ হলে সরকারের টাকা ব্যয় করে হলেও সেটা নিরীক্ষণ করব। এই মহানগরীতে ২১ লাখ জনবসতি আছে। এরমধ্যে দালান ৫ লাখ বাকিটা টিনসেড অথবা সেমিপাকা ভবন। ঢাকা গাজীপুর নারায়নগঞ্জ তথা ড্যাপ এলাকায় ৩ হাজার ২৫২টি ভবন পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে অনেক ভবন মেরামত করে ভূমিকম্প সহনীয় করতে হবে। অনেকগুলো ভবন ভেঙে ফেলতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে বড় ধরণের ভূমিকম্প হলে ব্যাপক প্রাণহানীর মুখোমুখি হতে হবে।

রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে যে কোন সময় ৭ থেকে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। সেজন্য আমাদের আগে থেকেই প্রস্তত হতে হবে।

রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ২০১২ সালে যখন ড্যাপ প্রকাশ করা হয় তার আগে ২০১০ সালের জরিপ অনুযায়ী ঢাকা ভবনের সংখ্যা ১১ লাখ। এবার যখন ২০২২ সালে ড্যাপ প্রকাশ করা হয়। সেখানে ২০১৬ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ঢাকায় ভবনের সংখ্যা ২১ লাখ। অর্থাৎ ঢাকাতে গড়ে প্রতি বছর ১ লাখ করে দালান গড়ে উঠেছে।

আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল লতিফ হেলালী বলেন, সাধারণ মেরামত খরচ ৩০ শতাংশের নিচে থাকলে শুধু সেই ভবনই মেরামত করতে বলি। কিন্তু মেরামত খরচ ৩০ শতাংশের উপরে হলে সেই ভবন ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেই।

রিহ্যাব ভাইস প্রেসিডেন্ট-১ কামাল মাহমুদ বলেন, এমনিতে ড্যাপের যন্ত্রণায় আবাসন খাতে চরম সংকট চলছে। এখন যদি নতুন করে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয় তাহলে আবাসন খাত টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যাবে।

সর্বশেষ ২০১১ সাল থেকে জাইকার সহযোগিতায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদফতর পরিচালিত চার বছর মেয়াদি একটি জরিপে জানা যায়, গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে নির্মিত ঢাকার ২ হাজার ১৯৩টি সরকারি ভবনের ৫৯ শতাংশই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অধিকতর ঝুঁকিতে রয়েছে। ভবনগুলোর বয়স ২০ বছরের বেশি ও ইটের গাঁথুনিতে তৈরি। সেই ভবনের কোনোটি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আবার কোনো ভবন ওই অবস্থাতেই ব্যবহার করা হচ্ছে।

গত ২০১৯ সালে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন, সচিবালয়ের ভবনগুলোতে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নি দুর্ঘটনার কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রতিটি ভবনে আলাদা করে সার্কিট ব্রেকার বসানো হয়েছে। তবে সচিবালয়ের ১ নম্বর ভবনটি ভূমিকম্প ঝুঁকিতে থাকায় ওই ভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের সভাস্থল সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১ নম্বর ভবনে অবস্থিত সরকারি অন্যান্য কর্মকর্তার দফতর স্থানান্তরে সচিবালয়ের মসজিদের সামনে বিদ্যমান টিনশেড ভেঙে ফেলে ভূমিকম্প ও অগ্নিপ্রতিরোধ সম্পন্ন আধুনিক সুযোগ সুবিধাসংবলিত একটি ২০তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

উৎসঃ   ইনকিলাব
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More