আড়ংয়ে ‘রংবাজি’র অভিযোগ ক্রেতাদের

0

aarong-2bg[ads1]ঢাকা: রাজধানীর উত্তরা জে ব্লকের বাসিন্দা সরকারি কর্মকর্তা মনিরুল হক। শখ করে আড়ংয়ের বনানী শাখা থেকে ২ হাজার ৫৯০ টাকা দিয়ে পাঞ্জাবি কিনেছিলেন গত বুধবার (৮ জুন)। অথচ  শুক্রবার (১০ জুন) এক ঘণ্টা পরাতেই পাঞ্জাবির রং উঠে যায়।

নিম্নমানের হওয়ায় কাপড়ের ববলিনও উঠে যায়। ফলে দামি পাঞ্জাবিটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়। সঙ্গে সঙ্গে আড়ংয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি মনিরুল। তাকে দায়সারা উত্তর দেন শাখাটির কর্মকর্তারা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে মনিরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘২ হাজার ৫৯০ টাকা দিয়ে আড়ংয়ের বনানী শাখা থেকে বুধবার পাঞ্জাবি কিনেছি। সেটি পরে শুক্রবার শুধুমাত্র জুম্মার নামাজ আদায় করেছি। এতেই কাপড়ের রং ও ববলিন উঠে গেছে। এখন পাঞ্জাবিটি পরার মতো অবস্থায় নেই’।

তিনি আরও বলেন, ‘আড়ংয়ের কাপড়ের মান আগের মতো নেই। অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি। বনানী শাখার কর্মকর্তারা দায়সারা উত্তর দিয়েছেন। এতো টাকা দিয়ে কাপড় কিনে এক ঘণ্টা পরেই বেহাল অবস্থা হবে, এটা কল্পনা করা যায় না’।

ক্রেতাদের অভিযোগ, ধানমণ্ডি, ওয়ারি, গুলশান, মগবাজার, মিরপুর ও উত্তরার আড়ং শাখা থেকেও শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়া ও টি-শার্ট কিনে ঠকছেন তারা। কারচুপি, এমব্রয়ডারি, এপলিক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, ব্লক ও হাতে কাজ করা শর্ট পাঞ্জাবিও চড়া দামে বিক্রি করে ঠকাচ্ছে আড়ং। মেয়েদের ট্র্যাডিশনাল ও ওয়েস্টার্ন নাইটওয়্যার, শাল, জুতা ও ব্যাগ এবং জুতা, মানিব্যাগ, বেল্টসহ নানা ধরনের লেদার আইটেমেও ঠকানো হচ্ছে। কিডস আইটেমের মধ্যে খেলনা, জুতা, ড্রেস ও বইসহ নানা পণ্যও নিম্নমানের।

রুপগঞ্জের বিসিক জামদানিপল্লীতে গিয়ে দেখা যায় যে, সেখানে গাছপাড় জামদানি ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই জামদানির মূল্য আড়ংয়ের বিভিন্ন শাখায় ৮ হাজার টাকা রাখা হচ্ছে। জামদানিপল্লীতে পালকি বুড়ি ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও আড়ংয়ে নেওয়া হচ্ছে ১ লাখ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।[ads2]aarong

[ads1]ভালো মানের কাপড়ের আশায় আড়ং থেকে বেশি দামে পণ্য কিনে ক্রেতারা ঠকছেন বলে অভিযোগ করেছেন মহাখালির বাসিন্দা ফিরোজ আলম। গত ২৮ মে আড়ংয়ের গুলশান-১ তেজগাঁও লিংক রোড শাখা থেকে তিন হাজার টাকা দিয়ে পাঞ্জাবি কেনেন তিনি। অথচ একদিন ব্যবহারের পর প্রথম ধোয়াতেই রং উঠে বিবর্ণ হয়ে যায় সেটি।

ফিরোজ আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘তিন হাজার টাকা দিয়ে পাঞ্জাবি কিনেছি আড়ং থেকে। এক ধোয়াতেই পাঞ্জাবিটি পরার মতো  অবস্থায় নেই। পরে গুলশানে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাইনি। টাকা দিয়ে আড়ংয়ের কাপড় কিনে যদি বেহাল অবস্থা হয় তবে কম দামে ফুটপাত থেকে কেনাই ভালো’।

ক্রেতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে আড়ংয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন লাখ লাখ গজ কাপড় কিনি। একটি দু’টিতে সমস্যা হতেই পারে। তবে যিনি অভিযোগ করেছেন, তার কাপড় বদলে দেওয়া হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘সব কাপড় আমরা নিজেরা বানাই না। অনেক রেডিমেট কাপড় কিনে থাকি। ফলে দু’একটি সমস্যা হতেই পারে’।[ads2]

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More