জামায়াত প্রার্থীদের প্রতি জনসমর্থন দেখে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে : জামায়াত

0

jamatবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীদের প্রতি জনগণের ব্যাপক সমর্থন দেখে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাই প্রার্থীদের প্রচারণায় পুলিশী হয়রানী অব্যাহত রয়েছে। বিনাভোটের দখলদার সরকারের গুম-খুন-ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণ প্রতিবাদ জানাতেই সিটির নির্বাচনে সর্বস্তরের নাগরিকরা জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তাই নির্বাচন থেকে জামায়াত তথা বিরোধীজোটকে সরিয়ে দিতেই জনপ্রিয় প্রার্থীদের ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। সেনা মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশন শুভঙ্করের ফাঁিকর খেলায় মেতেছে। বৃহষ্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি একথা বলেন।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আরো বলেন,৫ জানুয়ারী স্টাইলের নির্বাচনের পর সবাই ভেবেছিল নির্বাচন কমিশন তাদের উপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতেই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিরপেক্ষ আচরণ করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিনাভোটের সরকারের আজ্ঞাবহ দাসত্ব থেকে কমিশন বের হতে পারেনি। প্রতিনিয়ত জামায়াত সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশী তল্লাশী চালানো হচ্ছে। প্রচারকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। মাইক কেড়ে নেয়া হচ্ছে। প্রচারকর্মীদের উপর পুলিশ ও সরকারীদলের সন্ত্রাসীরা একযোগে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ ও জনপ্রশাসনকে সরকারদলীয় প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় দলীয় কর্মীদের মত ব্যবহার করা হচ্ছে। আশকোনা হাজিক্যাম্পে রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের মাসিক সমন্ময়সভায় সরকারীদলের প্রার্থীদের পক্ষে নিজ নিজ মসজিদে ভোট চাইতে বাধ্য করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সরকারের শীর্ষপদ থেকে মন্ত্রী-এমপিরাও নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ফ্রিস্টাইলে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশন চরম উদাসীনতা দেখাচ্ছে। যাকেই ভোট দেয়া হোকনা কেন সরকারীদলীয় প্রার্থীদেরই বিজয়ী করা হবে এমন বক্তব্যের পরও কমিশন তাদের বিরুদ্ধে কোনই ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। প্রতিদিনই জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীদের পোষ্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে, প্রচার মাইক কেড়ে নেয়া হচ্ছে, কাউন্সিলর ও কর্মীদের উপর হামলা করা হচ্ছে। বুধবার রাতে ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আঞ্জুমান আরা রবের পুরানা পল্টনস্থ বাসায় পুলিশ বিনা কারণে অভিযানের নামে বাসার আসবাবপত্র তছনছ করে ও তার নির্বাচনী প্রচার পত্র নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে ২ জন কর্মীকে গ্রেফতার করে পল্টন থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে কাকরাইল আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের সামনে প্রচারণার সময় ঢাকা দক্ষিণের ১৩ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী আঞ্জুমান আরা রবের পক্ষে গণসংযোগকালে তার কর্মীদের উপর হামলা করে ছাত্রলীগ। এ সময় তারা রোবায়েত হোসেন নামে এক সমর্থককে মারধর করে পল্টন থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিলেও তারা তা আমলে নিচ্ছেনা। হামলা নির্যাতনের বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে পাল্টা পুলিশের হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে প্রচারণায় হামলার ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও তাদের আইনের আওতায় আনতে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় প্রশাসনকে কোনই নির্দেশ দিচ্ছেনা।
জামায়াত নেতা বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ আতঙ্কমুক্ত রাখতেই মেজিস্ট্রিসি পাওয়ারসহ সেনা মোতায়েন করতে হবে। কিন্তু এ বিষয় নিয়েও নির্বাচন কমিশন নতুন তামাশা করছে। সেনাবাহিনী সবসময়ই সেনানিবাসে থাকে। তাই ভোটের পরিবেশ রক্ষায় ভোট কেন্দ্রের পরিবর্তে সেনাবাহিনীকে সেনানিবাসে রেখে দেয়ার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রার্থীদের পুরো দাবীকেই নাকচ করে দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনই ভোটারদের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজদের ভোটাধিকার রক্ষায় নগরীর প্রতিটি লোককে ভোটের দিন সাহসিকতার সাথে পথে নেমে ভোট দিয়ে ভোট কেন্দ্র পাহারা দেবার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান তিনি। বিজ্ঞপ্তি (২৩ এপ্রিল ২০১৫,বৃহস্পতিবার)

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More