জামায়াত সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর বাসায় গিয়ে হত্যার হুমকি

0

Loshkor Md৪ ওয়ার্ড । ঢাকা উত্তরের একটি গুরুত্তপূর্ণ এলাকা । মিরপুর ১৩, ভাষাণটেক এবং ইমাননগর নিয়ে গঠিত এ অঞ্চল ।

বাংলাদেশের নাম করা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সব গুলোই এ অঞ্চলে অবস্থিত । এ ছাড়া্ও স্কলাস্টীকার মত ইংলিশ মাধ্যম স্কুল , তিনটি সরকারী মেডিকেল কলেজ , বাংলাদেশ সরকারের সবিচবদের আবাসিক এলাকা ”ন্যাম গার্ডেন” বিআরটিএ সহ নানা কারণে গুরুত্তপূর্ণ ৪ নং ওয়ার্ড ।

আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নির্দলীয় হলেও প্রার্থিরা ভোট চাচ্ছেন দলীয় পরিচয় দিয়ে । প্রায় ৫৪ হাজার ভোটারের এ আসনটিতে কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন ৬ জন । জামাল মোস্তাফা , মাইকেল , এবং কাজী আবুল হোসেন মাস্টার নিজেদের কে আ.লীগ সমর্থীত প্রার্থী পরিচয় দিয়ে থাকেন । অন্য দিকে জনি দেওয়ান এবং সামছু নিজেদেরকে বিএনপি সমর্থীত শত নাগরিক প্রার্থী পরিচয় দিয়ে ভোট চাচ্ছেন । এ সব দিক থেকে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নেতা ও স্থানীয় বাসিন্দা লস্কর মো: তসলিম ।

৪ ওয়ার্ড ঘুরে বিভিন্ন শ্রেণীর ভোটারদের মতামত জানতে গিয়ে দেখা যায় সাধারণ ভোটাররা কিছুটা শংকিত সুষ্ঠ ভাবে ভোট সম্পন্ন হ্ওয়া নিয়ে । তাদের এ আশংকার কারন জানতে চাইলে রবিউল নামের বরিশালের এক বাসিন্দা বলেন “মুই এ এলাকার ভোটার , তসলিম ভাই মোগো দেশী পোলা, হ্যার বাপের অনেক নাম শুনছি, হ্যারে ভোট দিব জেনে বাড়ি ্ওলা বাসা ছাড়তে কইছে “

নাসের নামে অন্য একজন এ প্রতিবেদককে বলেন , এখানকার অধিকাংশ ভোটারদের বাড়ি বরিশালে, তসলিম ভাইর আদি নিবাস বরিশালের ঝালকাঠি হ্ওয়ায় তাদের একচেটিয়া ভোট তিনি পাবেন । এ ছাড়া্ও তিনি শিক্ষিত এবং মিরপুরের বর্তমান স্থানীয় বাসিন্দা । সামাজিক ভাবেও তাকে মানুষ সব সময় কাছে পায় ।”

নির্বাচনী গণসংযোগে লস্কর তসলিমের ছোট ভাই তাজভীর বলেন “আমরা মজলুম আর জনগন মজলুমের পাশে আছেন , ঠেলাগাড়ি প্রতিকে ব্যাপক সারা পাচ্ছি । হুমকি , ভয় ভিতী্ও দেখাচ্ছে অনেকে , আমাদের বাসায় এসে ভাইকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে । আমরা শেষ মুহুর্ত পর‌যন্ত মাঠে থাকবো “

বিভিন্ন কৌশলে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন লস্কর তসলিমের সমর্থকরা ।

নির্বাচনী ইশতিহারে তিনি অনেক গলো প্রতিশ্রুতি দেন এবং বলেন “কথা নয় কাজের মাধ্যমেই থাকতে চাই এলাকাবাসীর সাথে।নির্বাচনের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই।গরীব দুঃখী মানুষের পাশে সব সময় থাকতে

নির্বাচনে জিতলে জনগনের পাশে থাকব ।

ঠেলাগাড়ী প্রতিক নিয়ে লড়ছেন।

তিনি বলেন, “আমি নির্বাচনে দাড়িয়েছি শুধু মানুসের সেবা করার জন্য। এ এলাকার লোকজন এমন একজনকে নির্বাচিত করবে যে সব সময় তাদের নিয়ে ভাববে ও তাদের পাশে থাকবে।” এছাড়াও তিনি

নির্বাচনে ১০ দফা ইশতেহার পেশ করেন।

১. এলাকার পুন্জীভূত সমস্যা নিরুপণ এবং তা সমাধানই হবে নির্বাচনোত্তর প্রধান কাজ।

২. ওয়ার্ডের মুরুব্বী, মসজিদের ইমাম.ধর্মীয় নেতা ও সাবেক কাউন্সিলরদের সহায়তা নিয়ে কার্যকর

কর্মপরিকল্পনা নেয়া হবে এবং তার আলোকে বাস্তবায়ন করা হবে ইনশাআল্লাহ।

৩. ময়লা-আর্বজনা, জলাবদ্ধতা, মশার উপদ্রোপ কমাতে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

৪. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশবান্ধব আধুনিক নগরায়ণে বাস্তবসম্মত কর্মসূচী নেয়া হবে।

৫. ওয়ার্ডের তরূন-যুবক ক্রীড়ামোদী ভাই/বোনদের নিয়ে আত্মিক ও মানসিক উন্নয়নের মাধ্যমে

দেশের জন্য ভূমিকা পালন করা হবে।

৬. সামাজিক বিভাজন, অনৈক্য, হিংসা কমিয়ে ভ্রাতৃত্ববোধ পরিবেশ তৈরীর প্রচেষ্টা চালান হবে।

৭. ওয়ার্ডের দু:স্থ ও অস্বচ্ছলদের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া হবে।

৮. চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীসহ সকলকে নিয়ে আধুনিক এবং বাস্তব সম্মত

পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

৯. ইভটিজিং সহ সকল প্রকার নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক আন্দেলন গড়ে তোরা হবে।

১০. সর্বোপরি দলমত, ধর্ম, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এলাকার সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে সকলের

সহযোগিতা নিয়ে একটি আর্দশ ওয়ার্ড গঠনে ভূমিকা রাখবো ইনশাআল্লাহ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More