রাজধানীর তোপখানা রোডে পাঁচ লাখ টাকা এবং ১০ লাখ টাকার চেক ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এসময় জনতার তোপের মুখে পড়ে দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্য। পুলিশ তখন গুলি চালানোর কথা বললে আরো ক্ষেপে যায় জনতা। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আজ বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ২টার দিকে তোপখানা রোডে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সহ সভাপতি জিয়াউল কবির সুমনের মোটর সাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় শেকড় পরিবহনের একটি গাড়ি।
এসময় মোটর সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান সুমন। তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পথচারীরা শিকড় পরিবহনের ওই গাড়িটিকে আটক করে। পথচারীরা গাড়িটি ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। এতে পুলিশ ক্ষেপে যায়। পুলিশের এসআই হারুন ও কনস্টেবল মাহবুব তখন পথচারীদের উপর বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে। এর প্রতিবাদ করলে আইউব নামের এক পথচারীকে পুলিশ টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নেয়। আইউব বলেছেন, তিনি একজন ব্যাংক কর্মচারি। ব্যাংকের টাকা ও চেক নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
পুলিশ আইউবকে ধরে নেয়ায় জনতা আরো ক্ষেপে যায়। পথচারীরা বলেন, পুলিশ গাড়ির চালক হেলপারকে না ধরে উল্টো প্রতিবাদকারীদের উপর নির্যাতন চালায়। এ কারণেই জনতা ক্ষেপে গিয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ঘিরে ফেলে। পুলিশের কনস্টেবল মাহবুব তখন শটগান উঁচিয়ে জনতার উপর গুলি চালানোর হুমকি দেয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা জেনে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠায়। পরে এসআই হারুন ও মাহবুবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের কথা বলে জনতাকে নিবৃত করেন পুলিশের ঊর্ধতন কর্তারা। এদিকে, এসআই হারুন বলেছেন, তিনি টাকা ও চেক ছিনতাই করেননি। হারুন শাহবাগ থানায় কর্মরত আছেন। গাড়িটিকে পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে।