বিভাগের একদল গবেষক।
তাদের দাবি, সোনারগাঁ হোটেল, রামপুরা, বারিধারা, বনানী রুটে নৌ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হলে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যাবে।
মঙ্গলবার বুয়েট ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এই প্রস্তাবটির বিস্তারিত তুলে ধরে।
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট মিলনায়তনে বৈঠকের শুরুতে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা উত্থাপনা করেন গবেষক দলের সদস্য সুমাইয়া তাবাসসুম, সাদিয়া চৌধুরী, মাহজাবিন রহমান, কাশফিয়া নেহরিন ও আহমেদ জাকারিয়া।
বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. ইশরাত ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের জেনারেল সেক্রেটারি ড. আকতার মাহমুদ, বাপার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল হক খান, বুয়েটের শিক্ষক মো. মুসলেহ উদ্দিন, হেলফব্রিজের আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরইমসন, সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের আমিনুল রসুল বাবুল, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মারুফ হোসেন, নিরাপদ সড়ক চাই-এর মিরাজুল মঈন জয় প্রমুখ।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে যানজটের কারণে গুলশান, বনানী থেকে বাংলামোটর, পান্থপথ, কারওয়ান বাজার সড়কে পথে প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগে।
গুলশান লেক এবং হাতিরঝিলে নৌযান চালুর মাধ্যমে বারিধারা, বনানী থেকে সোনারগাঁ হোটেলের পেছন পর্যন্ত আধা ঘণ্টায় পৌঁছানো সম্ভব।
আরো বলা হয়, গুলশান-বনানী লেকে ৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন লিটার পানি ধারণক্ষমতা রয়েছে। যা আমাদের জলবদ্ধতা হ্রাস ও লেক সংলগ্ন স্থানগুলোকে আরো বেশি প্রাণবন্ত করা সম্ভব হবে।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে এই খাল-বিল, জলাশয় এবং লেকগুলোকে ব্যবহার করা হলে তা যেমনি গণপরিবহন হিসেবে আমাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে, ঠিক তেমনি মানুষের গণপরিসরের চাহিদাও পূরণ করবে।
অভ্যন্তরীণ নৌপথ চালু হলে ঢাকা শহরের যানজট সমস্যা সমাধানের একটি প্রকৃত সমাধান হবে বলে তারা দাবি করেন।